শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খর স্রোতা খর স্রোতা নদী এখন ফসলের মাঠে পরিণত হয়েছে

ওমর ফারুক, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি
  ২৩ মার্চ ২০২১, ১৬:০৩

নওগাঁর আত্রাইয়ে এক সময়ের খরস্রোতা আত্রাই নদী এখন ক্রিকেট খেলার মাঠে পরিণত হয়েছে। চৈত্রের তাপদাহে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় আত্রাই নদী শুকিয়ে এখন ফসলের মাঠ, খেলার মাঠ ও বিনোদন স্পটে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশের উত্তর প্রান্ত জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে শুরু করে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ , খানসামা , চিরিরবন্দর হয়ে নদীটি ভারতের মধ্যে প্রবেশ করে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই নদী নওগাঁর

মহাদেবপুর ,পত্নীতলা,মান্দা ,আত্রাই,নাটোরের সিংড়া ,গুড়দাসপুর ও পাবনার ভাঙ্গুরা ,ফরিদপুর বেড়া হয়ে নদীটি যমুনা নদীর সাথে একীভূত হয়েছে।

ঐতিহাসিক দিক থেকে এই নদীর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। এক সময় এই নদী ছিল খরস্রোতা নদী।সবসময় এ নদীতে থাকত পানির উত্তাল তরঙ্গমালা।

কি চৈত্র কি আষাঢ় বর্ষা ও শুষ্ক উভয়ই মৌসুমে ছিল না পানির অভাব। সে সময় এ নদী দিয়ে বয়ে যেত লঞ্চ,স্টিমার ও বড় বড় পালতোলা নৌকাসহ বিভন্ন প্রকার জলযান।

এছাড়াও এলাকার হাজার হাজার কৃষক কৃষি পণ্য উৎপাদনে ব্যবহার করত নদীর পানি। নদীর পানি সেচ কাজে ব্যবহার করে একদিকে সাশ্রয় অপরদিকে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পেত । কিন্তু কালের বিবর্তনে সেই খরস্রোতা নদী এখন শুকিয়ে ফসলের মাঠে পরিণত হয়েছে ।

উপজেলা মধুগুড়নই গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন ,আমরা যুগ যুগ থেকে নদী পথে নৌকা নিয়ে মাটির তৈরী মালামালের ব্যবসা করে থাকি। মাটির তৈরী ডাবর ,টালি,পাতিল ,কলসসহ বিভিন্ন প্রকার সামগ্রী নৌকা যোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি।

বর্তমানে এই আত্রাই নদী শুকিয়ে যাওয়ায় আমাদেও ব্যবসা স্থবির হয়ে পড়েছে । এজন্য আমরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি।এছাড়াও নদী পানি শূন্য হয়ে যাওয়ায় বোরো সেচ নিয়ে বিপাকে পড়েছে হাজার হাজার কৃষক।

বিপ্রবোয়ালিয়া গ্রামের আব্দুর রউফ বলেন ,নদীর পানি সেচে বোরো চাষ করলে আমাদেও খরচ হয় বিঘা প্রতি ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা । অথচ নদী পানি শূন্য হওয়ায় মাঠে শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিতে খরচ হচ্ছে অনেক গুণ বেশি।এতে আমাদের সেচ খরচ ও অনেক বেড়ে যাচ্ছে আর জমির উর্বরতা ও কমে যাচ্ছে।

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে