শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বন্দি জীবন থেকে মুক্ত আকাশের ১৮ পাখি

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
  ০৮ মে ২০২১, ১৭:৫১

পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠী ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন বাড়ি এবং সংগবদ্ধ পাখি শিকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা তিন প্রজাতির ১৮টি ঘুঘু মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শনিবার (৮ মে) বেলা সাড়ে ১১ টায় ডিসি বাংলো সড়কে খাঁচা থেকে পাখি অবমুক্ত করা হয়। পটুয়াখালী এনিমল লাভার নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা বন বিভাগের সহযোগীতায় এসব পাখি উদ্ধার করেছিলো।

প্রাণী কল্যাণ সংগঠন ‘পটুয়াখালী এনিমল লাভার’ এর চেয়ারম্যান নওশিন আফরোজ বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী এনিমল লাভার সংগঠনের কর্মীরা খবর পাই সদর উপজেলার মধ্য ডেউখালী এলাকায় সুলতান ফকির নামে এক ব্যক্তি নিয়মিত ডাহুক ধরে তা বিক্রি করছে। শুক্রবার তাকে সচেতন করতে আমরা সেখানে যাই। সে সময় বেশ কিছু ডাহুক পাই সেগুলো অবমুক্ত করা হয়। এছাড়া ফাদ গুলো বিনষ্ট করা হয়। ওই বাড়ি থেকে জানতে পারি ওই এলাকার অনেক মানুষ ঘুঘু পাখি শিকার করে। পারিবারিক ভাবে অনেক দিন পর্যন্ত তারা সেখানে ঘুঘু লালন পালন করছেন। তিনি আরও বলেন, ওই এলাকার পাঁচটি বাড়ি থেকে মোট ১৮ টি ঘুঘু উদ্ধার করা হয়। এসময় ১৯ টি পাখির খাঁচা উদ্ধার করা হয়।

নওশিন আফরোজ ঘুঘু ধরার কৌশল সম্পর্কে আরও বলেন, ‘ঘুঘু পাখি গুলোর পাখা কেটে দেওয়া হয়। যার ফলে পাখি গুলো ওরার শক্তি হারিয়ে ফেলে। এরফলে খাঁচার মধ্যে ঝাপটা ঝাপটি কমে যায়। ওই সকল ডানা কাটা ঘুঘু দিয়ে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করা হচ্ছে।’

পাখি অবমুক্ত করার সময় উপস্থিত পটুয়াখালী বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, জেলায় পাখি শিকারের প্রবনতা রয়েছে। সম্প্রতি সময়ে এয়ারগান দিয়ে পাখি শিকার করায় বন বিভাগ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পটুয়াখালী বন বিভাগ, পটুয়াখালী এনিমল লাভার সংগঠনের কর্মীরা বিভিন্ন সময় কাজ করছে এবং তারা পাখি আটক করছে। যারা এ ধরনের অবৈধ কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ২০২০ সালের পাখি নীতিমালা অনুযায়ী দেশীয় পাখি লালন পালন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যারা আইন বহিভূত কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে