একদিকে জনসংখ্যা কমছে অন্য দিকে ৭ হাজার নতুন দ্বীপ পেল জাপান

প্রকাশ | ০৩ মার্চ ২০২৩, ১১:৪৯

যাযাদি ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

একদিকে দিন দিন জাপানের জনসংখ্যা কমছে। জন্ম হার ৪০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। জন সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু তাতেও জন্মহার বাড়ছে না। এদিকে হাজার হাজার দ্বীপের সন্ধান পেয়েছে। 

জানা যায়, নতুন করে দ্বীপ গণনা করেছে প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্র জাপান। আর এতে চমকপ্রদ এক ঘটনা ঘটে গেছে। নতুন করে দেখা মিলেছে আরও সাত হাজারের বেশি দ্বীপের, যা ১৯৮৭ সালের গণনার সময় চোখে পড়েনি। খবর সিএনএনের।

জাপানের জিওস্প্যাশিয়াল ইনফরমেশন অথরিটি (জিএসআই) সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখতে পেয়েছে, জাপানের সীমানার মধ্যে সব মিলিয়ে ১৪ হাজার ১২৫টি দ্বীপ রয়েছে। আগে ছিল ৬ হাজার ৮৫২টি। ১৯৮৭ সালের জাপানের কোস্টগার্ড কেবল ছয় হাজার ৮৫২টি দ্বীপই চিহ্নিত করতে পেরেছিল।  

জিএসআই জানিয়েছে, নতুন এই দ্বীপগুলোর দেখা পাওয়া জরিপ প্রযুক্তিতে অগ্রগতি নির্দেশ করে। তবে নতুন দ্বীপ তালিকায় যুক্ত হলেও জাপানের দখলে থাকা ভূমির সামগ্রিক আয়তনে কোনো পরিবর্তন আনবে না। কারণ এই দ্বীপগুলো আগে থেকেই বিদ্যমান ও সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত এবং এসব ভূমি জাপানের সীমানার মধ্যেই। নতুন কোনো ভূমি আবিষ্কৃত হয়নি। 

জিএসআই আরও জানিয়েছে, দ্বীপ গণনার ক্ষেত্রে কোনো আন্তর্জাতিক মাণদণ্ড না থাকায় তারা ৩৫ বছর আগে ১৯৮৭ সালে যে পদ্ধতি ব্যবহার করেছিল, এখানেও তাও ব্যবহার করেছে। সেই মানদণ্ড অনুসারে, কোনো একটি ভূখণ্ডকে দ্বীপ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য এর পরিধি অন্তত ১০০ মিটার হতে হবে।  

নতুন বের হওয়া দ্বীপগুলোর কোনোটিই কৃত্রিম বা সংঘাতপূর্ণ নয়। তবে জাপানের সঙ্গে বেশ কয়েকটি দেশের দ্বীপ নিয়ে ঝামেলা রয়েছে। যেমন রুশ দখলে থাকা কুরিল দ্বীপপঞ্জকে জাপান নিজেদের বলে দাবি করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রাশিয়া দ্বীপপুঞ্জটি দখল করে নেয়। 

এ ছাড়া পূর্ব চীন সাগরে চীনের সঙ্গে সেনকাকু দ্বীপ নিয়ে ঝামেলা রয়েছে। দ্বীপটি বর্তমানে জাপান নিয়ন্ত্রণ করলেও সাম্পতিক সময়ে চীন দ্বীপটির ওপর নিজেদের অধিকার রয়েছে বলে দাবি তুলেছে।

যাযাদি/ এস