ভয়ঙ্কর রূপে গতি বাড়িয়ে এগোচ্ছে মোখা

প্রকাশ | ১৩ মে ২০২৩, ১৩:১৬ | আপডেট: ১৪ মে ২০২৩, ১৬:০২

যাযাদি ডেস্ক

মহা আতঙ্কে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। ইতোমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছ। এদিকে কক্সবাজরের দিকে তীব্র গতিয়ে এগোচ্ছে মোখা। এতে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে উপকূলীয় অঞ্চলে।

জানা যায়, ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার গতির বাতাস বুকে নিয়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের দিকে এগিয়ে আসছে মোখা। শনিবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৬ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এই বিশ্বে বুলেটিনে আরও জানানো হয়, অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এ কারণে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

শনিবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে এক সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

যাযাদি/ এসএম