কাদায় আটকে পড়া ১ মাস বয়সী হাতি শাবকের ঠাঁই হলো চকরিয়ার সাফারী পার্কে

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:১৩

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কাদায় আটকে পড়া ১ মাস বয়সী হাতি শাবকের ঠাঁই হলো কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে। শনিবার রাতে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পাইরাং বন সংলগ্ন লোকালয় থেকে হাতিটিকে সাফারী পার্কে পাঠানো হয়েছে।

বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ৬দিন আগে চট্টগ্রামের বাঁশাখালী উপজেলার পাহাড়ি পাইরাং এলাকায় কাদামাটিতে আটকা অবস্থায় একটি হাতি শাবক দেখতে পায় স্থানীয়ে লোকজন। এদিন হাতির পাল শাবকটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়।

পরে স্থানীয় লোকজন হাতি শাবকটিকে উদ্ধার করে  বনে ছেড়ে দিয়ে আসে। তবে এদিন বিকালে শাবকটি আবার লোকালয়ে চলে আসে।

বনবিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে অসুস্থ হাতি শাবকটি উদ্ধার করে চিকিৎসা প্রদান করেন।একটু সুস্থ হলে রাতে দুই দফায় হাতির পালের কাছাকছি দিয়ে এলেও সকালে দেখা যায়, শাবকটি রেখে চলে গেছে হাতির পাল।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, হাতি শাবকটি দেখতে উৎসুক জনতা ভীড় করছিল। হাতির পাল আশেপাশে মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে যে কোন সময় উত্তেজিত হয়ে উঠতে পারে। তখন মানুষের জানমালের ক্ষতির আশঙ্খা থাকে। তাই সবদিক বিবেচনা করে হাতি শাবকটি ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে নেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মানুষের সংস্পর্শে আসায় অন্য হাতিরা শাবকটিকে আর ফিরে নিতে চায়নি।

ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কের তত্বাবধায়ক মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বাঁশখালী থেকে নিয়ে আসা হাতি শাবকটি খুবই দুর্বল। নিয়মিত ডাক্তারের তত্বাবধানে রেখে চিকিৎসা চলছে।

এদিকে ইতিপূর্বে টেকনাফের নাফ নদী থেকে তিন মাস বয়সী একটি হাতি শাবক উদ্ধার হয়। পরে শাবকটি ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে নিয়ে আসা হয়। হাতিটির বয়স এখন দুই বছর। হাতিটি এখন যমুনা নামে পরিচিত।

যাযাদি/ এম