বিজয় দেখিনি, তবে...

১৯৭১ সালে দীঘর্ ৯ মাস যুদ্ধের পর আমরা পেয়েছি এই বিজয়। স্বাধীন দেশ নিমাের্ণ ত্যাগের সীমা-পরিসীমা নেই। অনেক ত্যাগে পাওয়া এ দেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কী ভাবছেন মুক্তিযুদ্ধ-পরবতীর্ ও বতর্মান প্রজন্ম। তারকাদের সেই ভাবনা নিয়ে প্রতিবেদনটি সাজিয়েছেনÑ মাসুদুর রহমান

প্রকাশ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:৫৮

অনলাইন ডেস্ক

সিয়াম আহমেদ (অভিনয় শিল্পী) আসলে আমরা যারা এ প্রজন্মের তারা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। তবে এ নিয়ে বড়দের কাছ থেকে অনেক গল্প শুনেছি। চলচ্চিত্র কিংবা নাটকের মাধ্যমে এর বিভীষিকা একটু অনুধাবন করতে পেরেছি। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমাদের আরও চলচ্চিত্র হওয়া দরকার। মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে আমাদের প্রেরণা। একটা জাতিকে নিজের পায়ে দঁাড়ানোর গল্প। অসংখ্য জীবনের বিনিময়ে পাওয়া এই স্বাধীনতা যেন আমরা রক্ষা করতে পারি এটাই আমাদের প্রত্যাশা। বিদ্যা সিনহা মিম (অভিনয় শিল্পী) মুক্তিযুদ্ধ আমি দেখিনি। কিন্তু অনুভব করার চেষ্টা করি সে সময়ের দিনগুলো। কত ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা এই দেশ পেয়েছি। তাই মুক্তিযুদ্ধ একদিকে যেমন আমাদের কষ্টের, অন্যদিকে গৌরবের। মুক্তিযুদ্ধের অনেক নাটকেই অভিনয় করেছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যÑ ‘একটি লাল শাড়ির গল্প’, ‘সন্দেশ বিষ পিঁপড়া’, ‘অপুর ’৭১’। মুক্তিযুদ্ধের নাটকে অভিনয় করাটাও সৌভাগ্যের বিষয়। পড়শি (কণ্ঠশিল্পী) মুক্তিযুদ্ধ না দেখলেও এ নিয়ে বড়দের কাছ থেকে শুনেছি। শুনে মনে হয়েছে আমরা অনেক গবির্ত জাতি। আমাদের দেখে পৃথিবীর অন্যান্য দেশ হিংসা করতে পারে। কেননা, ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এই দেশ। সারা পৃথিবীর কাছে একটি বড় দৃষ্টান্ত। আমি মুক্তিযুদ্ধের গান এখনো করিনি। তবে করার ইচ্ছা আছে। তাই একাধিক দেশের গান করেছি। সম্প্রতি ‘জয় হবেই হবে’ গানটির মিউজিক ভিডিও করলাম। হুমায়রা হিমু (অভিনয় শিল্পী) আমরা আসলে সৌভাগ্যবান যে স্বাধীন দেশে বসবাস করছি। কিন্তু যারা জীবনের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা দিয়ে গেল তাদের ঋৃণ আমরা কোনো দিন শোধ করতে পারব না। ৭১ সালের সেই যুদ্ধের ঘটনা মা-বাবা কিংবা অন্যদের কাছ থেকে শুনেছি। বইয়েও পড়েছি। কিন্তু সেই সময়ের বাস্তবতা দেখিনি। এ সময়ে দেশের একজন নাগরিক হয়ে দেশকে নিয়ে গবর্ করি। মুক্তিযুদ্ধকে হৃদয়ে ধারণ করি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে সারা জীবন বেঁচে থাকতে চাই। ইমরান (কণ্ঠশিল্পী) মুক্তিযুদ্ধের সে সময়টা অনুভব করে মনের ভেতর এক ধরনের উত্তেজনা বোধ করি। কত কষ্টই না হয়েছে দেশটা স্বাধীন করতে। কত প্রাণ গেছে এই মুক্তিযুদ্ধে। আমাদের ত্যাগের বিনিময়ে পেয়েছি বাংলাদেশ। যদি মুক্তিযুদ্ধের আগের প্রজন্ম হতাম। তবে অবশ্যই আমি মুক্তিযোদ্ধা হতাম। মুক্তিযুদ্ধের গান আমাকে সবসময়ই টানে। আমি একটি গানও করেছি মুক্তিযুদ্ধকে উপলক্ষ্য করে। আমার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন কণা। নিলয় আলমগীর (অভিনয় শিল্পী) আমি গবির্ত যে, আমার বাবা মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। ঢাকার কোরনীগঞ্জে আমার বাবা যুদ্ধ করেছিলেন। বাবা মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সুবাধে খুব ছোটবেলা থেকেই মুক্তিযুদ্ধ সম্পকের্ একটু একটু ধারণা নিয়ে বড় হয়েছি। সৌভাগ্যবান আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। অনেক সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা পেয়েছি। হৃদয়ে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধ ধারণ করি।