বাহারি ফুল বাগানবিলাস

প্রকাশ | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বাগান বিলাস কাষ্ঠল লতা জাতীয় উদ্ভিদ। আমাদের দেশে এ বাগান বিলাস ফুল বাড়ির গেটে রোপণ করা হয় বলে একে গেট ফুল, দেখতে রঙিন কাগজের মতো বলে কাগজ ফুল বা কাগজি ফুল নামে ডাকা হয়। এর আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিল, পেরু ও আজেির্ন্টনায়। ইংরেজি নাম-ইড়ঁমধরহারষষবধ, পরিবার-ঘুপঃধমরহধপবধব, উদ্ভিদতাত্বিক নাম-ইড়ঁমধরহারষষবধ ংঢ়বপঃধনরষরং। গাছ ঝোপালো, শাখা-প্রশাখা শক্ত মানের এবং কণ্টকময়। গাছ দ্রæত বধর্নশীল। ঘন পাতা, রঙে সবুজ, অগ্রভাগ সূচালো, আকারে ছোট। গাছের গড় উচ্চতা ১০ থেকে ১২ মিটার। শাখা-প্রশাখা অবনত ছঁাটাই না করা হলে নিচ দিকে ঝঁুকে থাকে। তবে ছঁাটাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গাছকে ছোট-বড় রূপে রাখা সম্ভব। আমাদের দেশে ছোট বড় সব বয়সী মানুষের কাছে এ বাগান বিলাস ফুল খুবই পরিচিত এবং দেশের প্রায় সবর্ত্রই এ ফুল দেখতে পাওয়া যায়। বাড়ির সামনে গেট, বাড়ির বারান্দায়, সীমানা দেয়াল, ছাদ বাগানের টবে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বাগান, রোড ডিভাইডারে, পাকর্ ও উদ্যানে এ বাগান বিলাস ফুল গাছ চোখে পড়ে। উঁচু থেকে মাঝারি উঁচু ভূমি রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া ও প্রায় সব ধরনের মাটিতে বাগান বিলাস ফুল গাছ জন্মে। ডাল কাটিং করে এর বংশ বিস্তার ঘটানো সম্ভব এবং কাটিং চারা রোপণের প্রায় এক বছরের মাঝে গাছে ফুল ধরে। রয়েছে বাগান বিলাসের বাহারি রং রূপের ফুল। এরই মাঝে আমাদের দেশে সাদা, লাল, গোলাপি ও হলুদ রঙের ফুল ফুটতে দেখা যায়। পৃথিবীব্যাপী ১৮ প্রজাতির বাগান বিলাসের সন্ধান পাওয়া যায়। গাছের সব শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগে ফুল ঘনভাবে ধরে। একটি ফুল থেকে অন্যটির দূরত্ব খুব কম। ফুলে নরম কোমল পাপড়ি তিনটি, মাঝে পরাগ অবস্থিত। ফুল গন্ধহীন। এর ফুল ফোটার মৌসুম প্রায় সারা বছরই। তবে গ্রীষ্ম, বষার্, শরৎ ও হেমন্তে গাছে বেশি পরিমাণে ফুল ফুটে। ফুটন্ত বাগান বিলাস ফুলের সৌন্দযর্ খুবই মনোরম যা সবার নজর কাড়ে। এ বাগান বিলাস ফুলের রূপ সৌন্দযের্ জনপ্রিয় বলে প্রকৃতিবিদরা বাগান বিলাসকে অনাের্মন্টাল প্ল্যান্ট বা শোভাবধর্ক উদ্ভিদ হিসেবে চিহিৃত করেছেন। বাগান বিলাস তার রং রূপের বিলাসি রূপ ছড়িয়ে দিক চারধারে। ছবি ও লেখা : মোহাম্মদ নূর আলম গন্ধী