শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিপস্নব সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে - মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৯ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, 'মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে একটা বিপস্নব সৃষ্টি করার সুযোগ রয়েছে। মৎস্য বিপস্নবের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা সম্ভব। এ সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে।'

শুক্রবার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো শৈথিল্য, অনিয়ম ও দুর্নীতি নয়। প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে কোনো ধরনের অনিয়ম পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায় সরকার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে। তাই রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনো কাজ অসম্পূর্ণভাবে করা যাবে না। অর্পিত দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করতে হবে। এগুলোর ঘাটতি পরিহার করতে হবে। কোনো কাজ অসম্পূর্ণভাবে করা যাবে না।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাজে আরও সৃজনশীলতা ও নতুনত্ব চাই। গঠনমূলক কাজ চাই। করোনা সংকটে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ সার্ভিস আশা করি।

বিদেশে থেকে অনেক মানুষ বেকার হয়ে দেশে ফিরেছে। দেশেও অনেকে কাজ হারানোয় বেকারত্ব বেড়েছে। এদের বেকারত্ব দূর করতে হবে। এ জন্য মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদন ও বিপণন প্রক্রিয়ায় বেকারদের বিনিয়োগ করতে চাই।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা বেকারদের সক্ষম করে তুলতে চাই, উদ্যোক্তা করতে চাই, গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল করতে চাই। এ জন্য মানুষের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটানোর সবচেয়ে বড় খাতকে আমরা বড় আকারে বিস্তার ঘটাতে চাই। করোনা, আম্পান, বৃষ্টি ও বন্যার কারণে প্রাণিসম্পদ খাতে প্রান্তিক পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ৯০০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেওয়া হবে। এত বড় প্রণোদনা বাংলাদেশের ইতিহাসে এ খাতে আর দেওয়া হয়নি। এটা শেখ হাসিনা দিচ্ছেন। যারা ভরাট পুকুরে মাছ চাষ করতে চায়, যারা গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি, ভেড়া, ছাগল পালন করতে চায় তাদের বিনামূল্যে সহযোগিতা দেয়া হবে, সহজশর্তে ঋণ দেয়া হবে। আমরা দেখতে চাই, গ্রামের একটা মানুষও বেকার থাকবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে