এ সময়ের কৃষি

প্রকাশ | ১৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ঘন কুয়াশার সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি বোরো ধানের বীজতলা ও রবিশস্যের ক্ষতি নিয়ে শঙ্কায় কৃষক। আবহাওয়ার এমন অবস্থা দীর্ঘ হলে ঘন কুয়াশায় রবিশস্য, আলুতে ছত্রাকজনিত রোগ, লেট বস্নাইট ও বোরো ধানের বীজতলায় কোল্ড ইনজুরির শঙ্কা করছেন কৃষকরা। কৃষকরা বলছেন, ঘন কুয়াশার কারণে বোরো মৌসুমের শুরুতেই তারা বৈরী প্রকৃতির মুখে পড়েছেন। শীত ও কুয়াশায় বোরোর বীজতলা নষ্ট হলে। সময়মতো বোরো আবাদ করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। আবহাওয়াবিদরা জানান, ঘন কুয়াশায় জলীয়বাষ্প উপরে উঠতে পারছে না। মাঝে মধ্যে সূর্য দেখা গেলেও রোদের উত্তাপ নেই। দিনের অধিকাংশ সময় কুয়াশার চাদরে মোড়ানো থাকছে আকাশ। সারাদিন আবছায়া আর কনকনে হাওয়ার ঝাপটা। কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তর এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের কৃষি পূর্বাভাস শাখা আলুর চারাকে বস্নাইট রোগের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে জমিতে ছত্রাকনাশক দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। আর বোরোর বীজতলা রক্ষায় সকালে বীজতলায় পানি ছিটানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কৃষিবিদ আব্দুল জব্বার বলেন, বোরো ধানের চারা কুয়াশার হাত থেকে রক্ষা করতে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা আর আলুক্ষেতে ছত্রাকনাশক ছিটানো ভালো। ঠাকুরগাঁয়ের সিলিন্দা বাজার এলাকার কৃষক জমির উদ্দিন বলেন, এবার পাঁচ বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। ভালো দাম পাচ্ছি না। এর মধ্যে কুয়াশা শুরু হয়েছে। তিন বিঘা জমিতে আলুচাষ করেছি। আলুর বয়স এক মাস এখনো হয়নি। কুয়াশা আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি বেশি দিন থাকলে আলুর ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। কৃষি অফিসারদের পরামর্শে ছত্রাকনাশক দিচ্ছি।