ফের চাঙা চায়ের বাজার

প্রকাশ | ২০ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় চা বিক্রি কমে যায় আশঙ্কাজনকভাবে। তবে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর সব পুরানো ধারায় ফিরে এসেছে। চা বিক্রি পুরোদমে চলছে। এখন চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। চলতি বছরের করোনার প্রভাবে লকডাউনে বন্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশে চা বিক্রির প্রধান স্থান হোটেল মোটেলসহ চা স্টলগুলোতে। এতে বাগানে বাগানে গুদামঘরগুলোতে জমতে থাকে চায়ের স্তূপ। চা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে বাগান কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা) মুনির আহমেদ জানান, বাংলাদেশে চায়ের যে বাজার তার ৮০ শতাংশ হলো চায়ের টং দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ, বাসস্টেশন ও বাজার। দেশের চায়ের প্রধান গ্রাহক এই স্থানগুলো। করোনাভাইরাসের কারণে এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় চা বিক্রি কমে যায় আশঙ্কাজনকভাবে। তবে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর সব পুরানো ধারায় ফিরে এসেছে। বর্তমানে দোকানপাট সব চালু থাকায় চা বিক্রি বেড়েছে। চা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত বছর রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদনের পর এ বছর তা কমেছে। চলতি বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ছয় কোটি ৮৯ লাখ ৩৮ হাজার কেজি চা। গত বছর প্রথম ১০ মাসে উৎপাদন ছিল সাত কোটি ৯৩ লাখ ৪৬ হাজার কেজি। চলতি বছর আবহাওয়ার জন্য উৎপাদন কিছুটা কমলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে জানিয়েছে চা বোর্ড। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা সাত কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার কেজি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চা উৎপাদন স্বাভাবিক থাকলেও কয়েক মাস বিক্রি না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে চা গুদামঘরে পড়ে থাকে, যার কারণে এই শিল্পে হতাশা তৈরি হয়েছিল। এখন স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে, তবে এখনো গত বছরের তুলনায় বিক্রি কম।