আবহাওয়া অনুকূল আর যথাযথ পরিচর্চার কারণে চলতি বছরে মানিকগঞ্জে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। বিস্ৃত্মর্ণ সরিষার খেতে পৌষের উত্তরের বাতাসে দুলছে সরিষা ফুল আর এই হলুদ ফুলের যেন মেলা বসিয়েছে মৌমাছিরা। ফলন ভালো হওয়ায় জেলার কৃষকের চোখেমুখে আনন্দের হাসি ফুটে উঠেছে। মাঘ মাসের শেষ দিকে ও ফাল্গুনের শুরুতে চাষি তার ক্ষেত থেকে সরিষা তোলা শুরু করবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার সাতটি উপজেলায় এ বছর সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৮ হাজার হেক্টর। এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ৩৭ হাজার ১১০ হেক্টর। এ জেলার কৃষকরা সাধারণত ৩টি জাতের সরিষা আবাদ করে থাকে। সেগুলো হলো সরিষা বারী-৯, বারী-১৪, বারী-১৫ জাতের সরিষা। মানিকগঞ্জ সদর, ঘিওর ও সাটুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিন সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ফসলের মাঠগুলো সরিষা ফুলের হলুদ রঙে অপরূপ শোভা ধারণ করেছে। মাঠে পরিচর্চার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন অঞ্চলের প্রান্তিক চাষিরা।

সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া এলাকার কৃষক রাসেল মিয়া জানান, গতবার আমি ২ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছিলাম। খরচ হয়েছিল ১০ হাজার টাকা। সরিষা বিক্রি করে পেয়েছি ৪০ হাজার টাকা। এবার ৩ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। ফলন দেখে মনে হচ্ছে, গতবারের চেয়ে ফলন অনেক ভালো হবে। এ বছর আরো বেশি লাভবান হব।

ঘিওর উপজেলার মাইলাগি গ্রামের চন্দন কুমার সরকার জানান, এ অঞ্চলের মাটি সরিষা চাষের উপযোগী হওয়ায় দিন দিন আবাদ বাড়ছে। এবার সরিষার উৎপাদনও অনেক ভালো হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ শাহজাহান আলী বিশ্বাস জানান, চলতি মৌসুমে আবাহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা চাষিদের প্রতিনিয়ত নানা ধরনের পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করছে।

বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের নতুন দুয়ার খুলে দিতে পারে আম