কৃষিপণ্য আমদানি-রপ্তানির সনদ এবার অনলাইনে

প্রকাশ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

ইমরান সিদ্দীকি
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীন উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের অটোমেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অটোমেশন প্রক্রিয়ার অধীনে রয়েছে পণ্যের জন্য ইম্পোর্ট পারমিট সার্টিফিকেট, ফাইটো স্যানিটারি সার্টিফিকেট, রিলিজ অর্ডার সার্টিফিকেট, অ্যানকোরেজ সার্টিফিকেট সম্পর্কিত সব কার্যক্রম। সব সার্টিফিকেটের কাজ আগে ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে সম্পাদিত হতো। যা ছিল গ্রাহকদের জন্য যথেষ্ট ভোগান্তিকর এবং সময় সাপেক্ষ। কিন্তু অটোমেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রাহক অনলাইনেই এসব সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং সার্টিফিকেট সংগ্রহও করতে সক্ষম হবেন। অন্যদিকে সুরক্ষিত ডাটাবেজ এসব সার্টিফিকেটের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা প্রদান করতে সক্ষম। এছাড়াও সার্টিফিকেটের নির্দিষ্ট নম্বর দিয়ে সার্টিফিকেটের সত্যতা যাচাই বা ভেরিফিকেশনেরও সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও গ্রাহকের ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা আরও সুন্দর করার লক্ষ্যে রয়েছে কল সেন্টার সেবা। এ ছাড়াও এই অটোমেশন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে অনলাইনে ট্রেজারি ফিস জমা দেয়ার সুব্যবস্থা। ফলে গ্রাহকরা যে কোনো স্থান থেকে সহজেই লেনদেন করতে পারবেন। এই অনলাইনসেবা কৃষিপণ্য আমদানি এবং রপ্তানি সংশ্লিষ্ট মানুষের জন্য ছিল এক আশার বাণী। এই অটোমেশন কার্যক্রমের বহুবিধ সুবিধা উপভোগ করছেন আমদানি ও রপ্তানিকারকরা। বর্তমানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ৩০টি বিভাগে প্রায় চলিস্নশ হাজার আমদানিকারক এবং রপ্তানিকারক রয়েছেন। যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পণ্য আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত। এই অটোমেশন প্রক্রিয়া চালু হওয়ায় এখন আর কোনো ধরনের সনদ কার্যক্রম ম্যানুয়ালি বন্ধ করা চলবে না। এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক যায়যায়দিনকে বলেন, আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের দিন; কেননা, এমডিজি গোল বাস্তবায়নের দিকে আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি খাতকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। আর এরই ফলশ্রম্নতিতে উদ্ভিদ সংগনিরোধ খাতে অটোমেশনের যাত্রা শুরু হয়েছে- যা আমাদের আমদানি-রপ্তানিকারকদের কাজকে করেছে নির্ভুল এবং দ্রম্নতগামী করবে। আর সব থেকে বড় দিক হচ্ছে, এই অটোমেশনের ফলে কার্যপদ্ধতির স্বচ্ছতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষিবিদ কামরুন্নাহার বলেন, এই অটোমেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের গ্রাহকদের আন্তর্জাতিক মানের পরিসেবা দান করতে পারব। এই অটোমেশনের মাধ্যমে আমরা যে ফাইটো স্যানিটারি সার্টিফিকেট প্রদান করছি তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং আইএসপিএম ১২ দ্বারা এটা প্রসিদ্ধ। কৃমিন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসানুজ্জামান কলেস্নাল বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের কৃষি খাত। আজকের এই অটোমেশন প্রক্রিয়া তারই বহিঃপ্রকাশ। আমি এই উইংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব মানুষকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাই। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেন, একটি নতুন অধ্যায় সংযোজিত হয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ে। আমরা আমাদের ডিজিটাইলাইজেশনের অগ্রযাত্রা চালিয়ে যেতে চাই- যা আমাদের ৪র্থ শিল্প বিপস্নবের জন্য প্রস্তুত করে তুলবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুলস্নাহ বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় আমাদের দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়, এর সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে অনেকগুলো অংশ- যার একটি হচ্ছে উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং। অটোমেশন প্রক্রিয়া আমাদের বৈদেশিক বাণিজ্যকে আরও তরান্বিত করবে। ইমরান সিদ্দীকি : কৃষিপণ্য রপ্তানিবিষয়ক উদ্যোক্তা