নয়নাভিরাম ফুল

দুপুরমনি

প্রকাশ | ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ভরদুপুরে নয়নাভিরাম রং রূপে প্রস্ফুটনের মাধ্যমে নিজের অস্তিত্বের জানান দেয় দুপুরমনি ফুল। ফুলটির তাইতো এসব নামকরণ। তাছাড়া অঞ্চলভেদে রয়েছে নানান নামÑ দুপুরচÐী, দুপুরমালতি, বন্ধুক, বন্ধুলী, কটলতা উল্লেখযোগ্য। ইংরেজি নাম- গরফফধু ভষড়বিৎ, ঝপধৎষবঃ গধষষড়,ি ঈড়ঢ়ঢ়বৎ ঈঁঢ়ং, ঋষড়ৎরসঢ়রধ, ঘড়ড়হ ঋষড়বিৎ, ঝপধৎষবঃ চবহঃধঢ়বঃবং ইত্যাদি। উদ্ভিদতাত্তি¡ক নাম- চবহঃধঢ়বঃবং চযড়বহরপবধ, পরিবার-গধষাধপবধব। আদিনিবাস দক্ষিণ এশিয়া। আমাদের দেশের প্রায় সব ¯'ানে রয়েছে এ ফুলের বিস্তৃতি এবং ছোট বড় সবার কাছে একটি জনপ্রিয় ফুল। দুপুরমনি বষর্জীবী গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। গাছের কাÐ অধর্কাষ্ঠল, উ"চতা গড়ে ৩ থেকে ৫ ফুট হয়ে থাকে। শাখা-প্রশাখা লম্বা ও ছড়ানো। প্রাপ্তবয়স্ক গাছ ঝাকরা আকার ধারণ করে। পাতার রং উজ্জ্বল সবুজ, খসখসে, কিনারা খঁাজকাটা, লম্বায় ৬ থেকে ১০ সেন্টিমিটার, অগ্রভাগ সরু। নতুন শাখা-প্রশাখার পত্র কক্ষ থেকে ফুল ফোটে। ফুল ফোটার প্রধান মৌসুম বষার্। তবে এর ব্যাপ্তি হেমন্তকাল অবধি। রয়েছে বাহারি রঙের ফুল। সিঁদুর লাল রং, হাল্কা গোলাপি বা সাদা রঙের ফুল। তবে আমাদের দেশে লাল রঙের ফুলের দেখা মিলে বেশি। ফুল চওড়ায় ২ সেন্টিমিটার, গন্ধহীন, নরম কোমল পাপড়ি পঁাচটি, মাঝে আকষর্ণীয় মিশ্র রঙের পরাগ অব¯ি'ত। ফুটন্ত ফুল দ্রæত সময়ের মাঝে ঝিমিয়ে গিয়ে ঝরে যায়। ফুল শেষে গাছে ফল ধরে। ফলের আকার গোলাকৃতির, রং প্রথমে সবুজ এবং পরিপক্ব ফল কালচে রং ধারণ করে। পঁাচ প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট ফলের প্রতি প্রকোষ্ঠে ৮ থেকে ১২টি করে বীজ থাকে। বীজের মাধ্যমে ও শাখা কাটিং করে এর বংশবিস্তার করা যায়। সাধারণত বীজের ব্যবহার অধিক। উঁচু ভূমি ও প্রায় সব ধরনের মাটিতে দুপুরমনি জন্মে। তবে সুনিষ্কাশিত মাটি ও রৌদ্রোজ্জ্বল পরিবেশ দুপুরমনির জন্য অত্যাবশ্যক। বাগান, পাকর্ ও উদ্যানে দুপুরমনি ফুল গাছ চোখে পড়ে। দুপুরমনির রয়েছে ভেষজ নানান গুণাগুণ। তাইতো গ্রামাঞ্চলের মানুষজনের কাছে প্রিয় উদ্ভিদ দুপুরমনি। ছবি ও লেখা : মোহাম্মদ নূর আলম গন্ধী