নাম তার সুদশর্না

প্রকাশ | ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
শুধু নারী নয় উদ্ভিদও সুদশর্না হয়। কথায় আছে বৃক্ষ তোমার নাম কি, ফলে পরিচয়! না, শুধু ফল দিয়ে আপনি সব বৃক্ষের পরিচয় পাবেন না। পৃথিবীতে অনেক বৃক্ষ, তরু, গুল্ম আছে যাদের পরিচয় মেলে দৃষ্টিনন্দন ফুলে অথবা বাহারি পাতার সাজে। আর তাই আকষর্ণীয় পাতার উদ্ভিদকে বলা হয় পাতাবাহার। পাতাবাহার গোত্রের বাহারি উদ্ভিদ সুদশর্না। দশর্নীয় পাতার বণির্ল সাজের জন্য অ্যানথুরিয়ামের বাংলা নাম সুদশর্না। শুধু পাতা নয়, সুদশর্নার বৈচিত্র্যময় পুষ্পমঞ্জুরি আরও বেশি সুন্দর। ইদানীং এই সুদশর্নার এত বেশি বৈচিত্র্য দেখে স্বয়ং উদ্ভিদতাত্তি¡করাই কোনটির কি নাম রাখবেন এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। সুদশর্নার কিছু প্রজাতির কদর আকষর্ণীয় মনোহারি ফুলের জন্য। তবে অধিকাংশই সমাদৃত সুদৃশ্য পাতার জন্য। সুদশর্না কচুগোত্রীয় গুল্মের পরিবার অৎধপবধব অহঃযঁৎরঁস এ উদ্ভিদের প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৬০০। বাংলাদেশেই এর প্রায় ৫০টি প্রজাতির চাষ হয়। এর মধ্যে ১০-১৫টি প্রজাতির অসংখ্য উপজাত চাষ করা হচ্ছে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে। অহঃযঁৎরঁস ধহফৎবধহঁস প্রজাতির সুদশর্নার পাতা দেখতে হরতনের মতো। ফুল লাল। তবে পুষ্পমঞ্জুরি সাদা ও হলদে বণের্র। এ প্রজাতির গাছে বাহারি পাতার পাশাপাশি তিন মাসের অধিক সময় সুদশর্নীয় ফুল থাকে। আর অহঃযঁৎরঁস পৎুংঃধষষরহঁস প্রজাতির সুদশর্না পত্রবহুল গাছটি দেখতে চমৎকার। পাতা হরতনের মতো এবং উপরে মখমলের মতো আস্তরণ থাকে। এ জাতীয় উদ্ভিদের পাতার শিরাগুলো সাদা। তবে সুদশর্না জগতের সবচেয়ে সুন্দর প্রজাতিটি হলো অহঃযঁৎরঁস ড়ধৎধয়ঁবহঁস. এদের পাতা খুব বড় দুই ফুট লম্বা আর আট ইঞ্চি চওড়া। পাতার রং গাঢ় সবুজ। কিন্তু মধ্যশিরা ও উপশিরার রং সাদা। বষার্কালে বীজ বা শাখা কলম দ্বারা যে কোনো প্রজাতির সুদশর্নার নতুন চারা তৈরি করা যায়। সুদশর্নার আদি নিবাস আমেরিকায় বলে ধারণা করা হয়। তবে এটি আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই পাওয়া যায়। দৃষ্টিনন্দন ফুল ও বাহারি পাতার জন্য এটি ব্যবহার করা হয় বারান্দায়, শোকেস, প্রবেশ পথ, গেস্টরুম, ড্রয়িংরুম, সভাকক্ষ, বাড়ির ছাদসহ সব ধরনের অভ্যন্তরীণ শোভাবধের্নর কাজে। এর দামও তুলনামূলকভাবে অনেক কম। ঢাকা শহরের যে কোনো নাসাির্রতে সুদশর্না পাওয়া যায় ৩০-৬০ টাকার মধ্যে। তবে টবসহ কিনলে দাম একটু বেশি হতে পারে। প্রজাতি ভেদেও দামের তারতম্য হয়ে থাকে। টবে লাগানো সুদশর্নায় নিয়মিত পানি দিতে হয়। তা না হলে গাছ ঠিকমতো পাতা ফুল উৎপাদন করতে পারে না, খবার্কৃতির কম আকষর্ণীয় হয়ে পড়ে। পরিচযার্র মধ্যে মাঝেমধ্যে নিচের দিকের পুরনো পাতা পরিষ্কার করে দেয়াই অন্যতম কাজ। এ ছাড়া তেমন একটা পরিচযার্র প্রয়োজন পড়ে না। লেখা ও ছবি : কৃষিবিদ এম আবদুল মোমিন