কীভাবে চিনবেন লেয়ার

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

নাহিদ বিন রফিক
বতর্মানে পোল্ট্রিশিল্প বেশ জমজমাট। গ্রাম থেকে শুরু করে শহরের কেন্দ্রস্থল কোথাও এর সমাদরের কমতি নেই। এমনকি বড় বড় অট্টালিকার ছাদেও গড়ে উঠেছে জীবন্ত এ শিল্প; যা থেকে পূরণ হচ্ছে দেশের পুষ্টি, বিশেষ করে আমিষের চাহিদা। পাশাপাশি আত্মকমর্সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে বেকারত্বের এক বিরাট অংশ। আর এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য খামারে চাই সুস্থ এবং উৎপাদনশীল মুরগি। তাই বেশি ডিম দেয়া মুরগির আচরণ ও অন্যান্য লক্ষণগুলো সম্পকের্ জানা জরুরি। মুরগির দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং এর আচরণের ওপর শরীরের অবস্থা উপলব্ধি করা যায়। সে কারণেই বেশি ডিম দেয়া মুুুরগি কীভাবে চেনা যায় তা একেক করে এবার জেনে নেয়া দরকার। বেশি ডিম দেয়া মুরগির মাথা হবে ছোট, হালকা এবং মাংশল অংশ থাকবে কম। মাথার ঝুঁটি ও গলার ফুল হবে উজ্জ্বল লাল রং কিংবা গোলাপি বণের্র। তবে এগুলো অবশ্য নরম, সুগঠিত ও প্রস্ফুটিত হবে। পাখির চোখের বণর্ হবে উজ্জ¦ল। চোখ সবসময় সতকর্ থাকবে। নাক ও মুখ থাকবে শ্লেষ্মাহীন পরিষ্কার। নাক দিয়ে সদির্ঝরা কিংবা গলার ভেতর ঘড়ঘড় শব্দ হবে না। মুরগির দেহ সুগঠিত হবে। পরিমাণমতো খাদ্য ও পানি পান করবে, সে কারণে খাদ্যথলিতে খাবারে ভতির্ থাকবে। পেটে ডিম অনুভব হলে অবশ্যই ওজনে ভারি হবে। এ ধরনের মুরগির পিঠ হয় লম্বা ও প্রশস্ত। শরীরের কোনো অংশে খঁুত, অপূণর্তা অথবা বিকলাঙ্গ হবে না। সুস্থ অবস্থায় মুরগির পালক উজ্জ্বল ও সুবিন্যস্ত থাকে। এ ধরনের মুরগি সাধারণত মাচর্ মাসের দিকে পালক পাল্টায়। তবে মাথার উপরিভাগের পালক শূন্য হয়ে টাকের সৃষ্টি হয়। মুরগির বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিম উৎপাদনের হার তুলনামূলকভাবে কমে যায়। লেখক : টেকনিক্যাল পাটিির্সপেন্ট, কৃষি তথ্য সাভির্স, বরিশাল