হাওড়ে আকস্মিক বন্যা মোকাবেলায় প্রশিক্ষণ কমর্শালা

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

গোলাম মতুর্জা সেলিম
আকস্মিক বন্যা মোকাবেলা করে বোরো ধান উৎপাদনের কলাকৗশলসংক্রান্ত এক কমর্শালা গত সোমবার সুনামগঞ্জের পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কাযার্লয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কৃষি কমর্কতার্ দীপক কুমার দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমর্শালার মূল গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. আশরাফুল ইসলাম। মূল গবেষণা প্রবন্ধে তিনি বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবতের্নর ফলে আকস্মিক বন্যা বা পাহাড়ি ঢলজনিত বন্যার সংঘটনের সময় আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক এগিয়ে এসেছে। এখন মাচের্র শেষে বা এপ্রিলের প্রথমদিকে এমন সময়ে বন্যা আসছে যখন বোরো ধানের কেবল শীষ বের হয়। সুতরাং এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে সম্ভাব্য বন্যার তারিখ ধরে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহকে স্বল্পমেয়াদি বিনা ধান-১৪ কিংবা ব্রি ধান-২৮ রোপণ করতে পারলে সহজেই আকস্মিক বন্যায় ফসল হানি এড়ানো সম্ভব। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের চওট-ঘঅঞচ-২ এর আথির্ক সহযোগিতায় পরিচালিত এই গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলের ভিক্তিতে অন্যান্য যে কৌশলের মাধ্যমে পাড়ারি ঢলের বন্যাকে মোবাবেলা করা যায় সেগুলো হলো উঁচু জমিতে দীঘের্ময়াদি ব্রি ধান-২৯, ব্রি ধান-৮১ রোপণ করা যায় কিংবা নিচু জমিতে ব্রি ধান-২৮, কিংবা বিনা-১৪ রোপণ করে মাত্র তিন মাসের মধ্যে ফসল ঘরে তোলা সম্ভব।