ন্যানো প্রযুক্তি কী?

প্রকাশ | ২৫ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের অধিকাংশ কৃষি বিজ্ঞানী ও কৃষিবিদদের নিকট এটি একটি নতুন বিষয় বলেই মনে হচ্ছে। এর কারণ দুটি- (১) কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠক্রমে এবং বিষয়বস্তুতে ন্যানো প্রযুক্তি অন্তভুর্ক্ত নয়। (২) দেশে কৃষি গবেষণার অগ্রাধিকারভিত্তিক ক্ষেত্রগুলোয় ন্যানোপ্রযুক্তি কখনো স্থান পায়নি। ন্যানোপ্রযুক্তিকে সংক্ষেপে ন্যানোটেক বলা হয়। এটি পদাথের্ক আণবিকপযাের্য় পরিবতর্ন ও নিয়ন্ত্রণ করার বিদ্যা। প্রকৃতপক্ষে, ‘ন্যানো’ শব্দটি গ্রিক ‘ঘধহড়ং’ শব্দ থেকে এসেছে, যার আভিধানিক অথর্ হলো ‘ফধিৎভ’ বা খাটো। কিন্তু এটি একটি মাপের একক। আর ন্যানোমিটার স্কেল বিস্তৃত সব প্রযুক্তিকে সাধারণভাবে ন্যানোপ্রযুক্তি বলা হয়। ১৯৮৯ সালে ৩৫টি জেনন অণু দিয়ে বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী আইবিএমের লোগো তৈরি করে দেখান যে, পদাথের্র অণুকে ইচ্ছামতো সাজিয়ে মানুষের পছন্দমতো অনেক কিছু তৈরি করা সম্ভব। প্রকৃতিতে রয়েছে ন্যানোপ্রযুক্তির অনেক বিস্ময়কর উদাহরণ। ন্যানোটেকনোলজির ইতিহাসে দুটি বড় আবিষ্কার হচ্ছেÑ (১) ২৯১৮ সালে স্ক্যানিং টানেলিং মাইক্রোস্কোপের আবিষ্কার; এবং (২) কাবর্ন অণুর দ্বারা ফুলেরিন আবিষ্কার। প্রথম সাফল্যটির জন্য জডর্ বিনিং, হাইনরিশ রোহরার এবং আইবিএম জুরিখ রিসাচর্ ল্যাবরেটার যৌথভাবে ১৯৮৬ সালে নোবেল পুরস্কারে ভ‚ষিত হন। আর ফুলারিন আবিষ্কারের জন্য হ্যারি ক্রটো, রিচাডর্ স্মলি এবং রবাট কুরি ১৯৯৬ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কারে ভ‚ষিত হন। দুটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ন্যানোপ্রযুক্তিতে ব্যবহৃত ন্যানোপদাথর্গুলো তৈরি করা হয়। এর একটি হলো ওপর থেকে নিচে (ঞড়ঢ় ঃড় ফড়হি) এবং অন্যটি হলে নিচ থেকে উপর (উড়হি ঃড় ঞড়ঢ়)। টপডাউন পদ্ধতিতে কোনো পদাথের্ক কেটে নিদির্ষ্ট ন্যানো আকার ও গঠন দেয়া হয়। আর ডাউন টু টপ প্রক্রিয়ায় অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আকারের অণু দিয়ে নিদির্ষ্ট গাঠনিক ন্যানোপদাথর্ তৈরি করা। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত সব ইলেকট্রনিক্স হলো টপডাউন প্রক্রিয়ায় তৈরি ন্যানোপ্রযুক্তি। ন্যানোমিটার স্কেলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নতুন প্রযুক্তির অধিকাংশই আজ ডাউন টু টপ প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হচ্ছে।