বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভেজাল সার চিনবেন যেভাবে

ভেজাল ইউরিয়া চিনতে হলে চা চামচের এক চামচ ইউরিয়া সার দুই চামচ পরিমাণ পানিতে দেওয়ার পর হাত দিলে যদি ঠান্ডা অনুভব না হয় তাহলে বুঝতে হবে যে এটি ভেজাল সার। আসল ইউরিয়া সারের দানাগুলো সমান হয়। তাই কেনার সময় প্রথমেই দেখে নিতে হবে যে সারের দানাগুলো সমান কিনা। ইউরিয়া সারে কাঁচের গুঁড়া অথবা লবণ ভেজাল হিসেবে যোগ করা হয়
যাযাদি রিপোর্ট
  ১৫ মে ২০২২, ০০:০০

যদি না গলে তবে বুঝতে হবে সারটি সম্পূর্ণ ভেজাল। আর যদি আংশিকভাবে গলে যায় তবে বুঝতে হবে সারটি আংশিক ভেজাল। এছাড়াও কিছু পরিমাণ ডিএপি সার হাতের মুঠোয় নিয়ে চুন যোগ করে ডলা দিলে অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ বের হবে। যদি অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ বের না হয় তাহলে বুঝতে হবে ভেজাল সার। ফসল উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সারে ভেজাল দ্রব্য মিশিয়ে তৈরি ও বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। তাই আসল সার চেনা জরুরি। তবে একটু সতর্ক হলেই আসল ও ভেজাল সারের পার্থক্য বোঝা যায়।

ভেজাল ইউরিয়া চিনতে হলে চা চামচের এক চামচ ইউরিয়া সার দুই চামচ পরিমাণ পানিতে দেওয়ার পর হাত দিলে যদি ঠান্ডা অনুভব না হয় তাহলে বুঝতে হবে যে এইটি ভেজাল সার। আসল ইউরিয়া সারের দানাগুলো সমান হয়। তাই কেনার সময় প্রথমেই দেখে নিতে হবে যে সারের দানাগুলো সমান কিনা। ইউরিয়া সারে কাঁচের গুড়া অথবা লবণ ভেজাল হিসেবে যোগ করা হয়।

প্রকৃত বা ভালো টিএসপি সারে অম্স্ন স্বাদ যুক্ত ঝাঁঝালো গন্ধ থাকবে। কিন্তু ভেজাল সারে এই গন্ধ পাওয়া যাবে না। এক চামচ টিএসপি সার আধা গস্নাস ঠান্ডা পানিতে মেশালে সার পুরোপুরি গলে যাবে এবং ডাবের পানির মতো পরিষ্কার দ্রবণ তৈরি করবে। ভেজাল টিএসপি হলে এর রকম হবে না। প্রকৃত বা ভালো টিএসপি সার অধিক শক্ত বলে দুই আঙুলে চাপ দিলে সহজে ভাঙবে না, কিন্তু ভেজাল টিএসপি সার সহজেই ভেঙে যায়। এছাড়াও ভেজাল টিএসপি দানার ভেতরে অংশে নানা রঙের হতে পারে।

ডিএপি সার চেনার জন্য চামচে অল্প পরিমাণ ডিএপি সার নিয়ে একটু গরম করলে এক মিনিটের মধ্যে অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ হয়ে তা গলে যাবে। যদি না গলে তবে বুঝতে হবে সারটি সম্পূণরূপে ভেজাল। আর যদি আংশিকভাবে গলে যায় তবে বুঝতে হবে সারটি আংশিক পরিমাণ ভেজাল আছে। এছাড়াও কিছু পরিমাণ ডিএপি সার হাতের মুঠোয় নিয়ে চুন যোগ করে ডলা দিলে অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ বের হবে। যদি অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ বের না হয় তাহলে বুঝতে হবে সারটি ভেজাল।

পটাশ সারের সঙ্গে ইটের গুড়া ভেজাল হিসেবে মিশিয়ে দেয়া হয়। গস্নাসে পানি নিয়ে তাতে এমওপি বা পটাশ সার মিশালে সার গলে যাবে। তবে ইট বা অন্য কিছু ভেজাল হিসেবে মিশানো থাকলে তা পানিতে গলে না গিয়ে গস্নাসের তলায় পড়ে থাকবে। তলানি দেখে সহজেই বুঝা যাবে সারটি আসল নাকি ভেজাল।

জিংক সালফেট সারে ভেজাল হিসেবে পটাশিয়াম সালফেট মেশানো হয়। জিংক সালফেট সার চেনার জন্য এক চিলতে জিংক সালফেট হাতের তালুতে নিয়ে তার সঙ্গে সমপরিমাণ পটাশিয়াম সালফেট নিয়ে ঘষা দিলে ঠান্ডা মনে হবে এবং দইয়ের মতো গলে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে