বিপন্ন প্রজাতির দুলর্ভ গাছ সিভিট

প্রকাশ | ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

এম আব্দুল মোমিন
স্কাভির্ রোগ থেকে বঁাচতে বা শরীরে ভিটামিন ‘সি’-এর স্বল্পতা রোধে আমরা সিভিট নামক এক ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকি। কিন্তু এই সিভিট সেই সিভিট নয়। এটি একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এলাকা ভেদে সিভিট, আম চুÐুল, মইলাম চিবুক (চট্টগ্রাম), আম বারোলা, বইলসুর, সিবিকা (চাকমা), সামবাং, সাংগিনফ্রু, সাংগ্রিন (মগ) ইত্যাদি নামে পরিচিত। বৈজ্ঞানিক নাম ঝরিহঃড়হরধ ভষড়ৎরনঁহফধ এবং গোত্র বা পরিবার অহধপধৎফরধপবধব । বাংলাদেশে সিভিট একটি বিপন্ন প্রজাতির দুলর্ভ গাছ এবং তেমন একটা গাছ দেখা যায় না। চট্টগ্রাম, পাবর্ত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের পাহাড়ি বনাঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো স্বল্পসংখ্যক সিভিট গাছ বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে রয়েছে। গাছের বৈশিষ্ট্য : সিভিট বৃহৎ আকৃতির চিরসবুজ বৃক্ষ, উচ্চতায় ৪৫-৫০ মিটার এবং গাছের বেড় ৫-৭ মিটার পযর্ন্ত হয়। গাছের গোড়ার অংশে ঠেসমূল বা অধিমূল রয়েছেÑ যা প্রায় ৭ মিটার পযর্ন্ত উচ্চতায় প্রসারিত। প্রধান কাÐ সোজা, গোলাকার এবং প্রায় ২০ মিটার পযর্ন্ত ডালপালাবিহীন। পাতা সরল, দেখতে অনেকটা আম পাতার মতো, কিনারা মসৃণ এবং আগা সূচালো। গাছে হালকা হলুদাভ বণের্র ফুল ফোটে। ফল ড্রুপ জাতীয় এবং ঝুলন্ত অপরিপক্ক ফলগুলো ৫টি পাতা সদৃশ বৃত্যাংশের ওপর বিন্যস্ত। বীজ থেকে চারা জন্মায় ও বংশ বিস্তার ঘটে। গুরুত্ব ও ব্যবহার : কাঠ হালকা ধূসর বণের্র, মধ্যম ভারী ও শক্ত, তবে তেমন টেকসই নয়। প্রধান কাÐ খুঁড়ে দেশীয় ডিঙ্গি নৌকা তৈরি করা হয়। জাহাজ ও নৌকাতে পাল তোলার কাজে, চায়ের বক্স, দিয়াশলাই কাঠি ও বক্স, বø্যাকবোডর্, ভিনিয়ার ও প্লাইউড, ফ্লাশডোর ও দরজা-জানালার ফ্রেম তৈরিতে কাঠ ব্যবহার করা হয়। সিভিট পাতা জ্বর, ডায়রিয়া ও দঁাতের ব্যথা নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। কঁাচা ফল খাওয়া যায়। ছবি ও তথ্য সংগ্রহ: আরণ্যক ফাউন্ডেশন।