সোনা রঙের ফুল হৈমন্তী

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সোনাপাতি মাঝারি জাতের চিরসবুজ বৃক্ষ। এর পরিবার- ইরমহড়হরধপবধব, উদ্ভিদতাত্বিক নাম-ঞবপড়সধ ংঃধহং আদিনিবাস আমেরিকা। যুক্তরাষ্টের ভারজিন আইল্যান্ডের অফিসিয়াল ফ্লাওয়ার সোনাপাতি। পরিচিত অন্যান্য নামÑ চন্দ্রপ্রভা, হৈমন্তী। সোনাপাতি ফুলের অপর এক প্রজাতি যার উদ্ভিদতাত্তি¡ক নাম-ঞবপড়সধ মধঁফরপযধঁফর এবং এর ফুল সোনাপাতির চেয়ে আকারে একটু বড়। সোনাপাতির ইংরেজিতে নাম ণবষষড়ি নবষষং,ণবষষড়ি ঃৎঁসঢ়বঃ ফুলটির এমন সব নামকরণের পেছনে রয়েছে এ ফুলের ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য। ফুল রঙে হলুদ বা সোনালি রঙের। ধারণা করা হয় সোনালি রঙের আকষর্ণীয় রং-রূপের ফলে সোনাপাতি নামকরণ। এর ফুল ফোটার প্রধান মৌসুম গ্রীষ্ম, বষার্ ও হেমন্ত। আর হেমন্তে ফোটে বলে হৈমন্তী নামকরণ। তবে প্রায় সারা বছরজুড়ে গাছে কম বেশি ফুল ফোটতে দেখা যায়। ফুল গাছের শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগে বড় বড় থোকায় ঘনসন্নিবিষ্টভাবে ধরে। ঘন সবুজ পাতার মাঝে সোনালি রঙের ফুল খুবই নজরকাড়া। ফুটন্ত ফুল দেখতে ঘণ্টা আকৃতির। কেউ কেউ আবার একে ঘণ্টা ফুল বলে জানেনÑ যদিও তা ভুল। দল ফানেলের আকার, ৩ থেকে ৪ সেন্টিমিটার চওড়া। ফুটন্ত ফুল মৌমাছি ও অন্যান্য পতঙ্গকে আকষর্ণ করে। ফল শুকনো, বিদারী, ১২ থেকে ২০ সেন্টিমিটার লম্বা, বীজ আকারে ছোট ও পক্ষল। বীজ ও ডাল কাটিংয়ের মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার করা হয়। গাছের উচ্চতা গড়ে ৩ থেকে ৪ মিটার। শাখা-প্রশাখা ছড়ানো ও ঝোপালো। গাছ দ্রæত বধর্নশীল। গাছের কাÐ ও শাখা-প্রশাখা বেশ শক্ত মানের। যৌগিক পাতা, লম্বায় ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার, কিনারা করাতের মতো খঁাজ কাটা, অমসৃণ যা দেখতে ভল্লাকার। পত্রক দুই থেকে তিনটি। সাম্প্রতিক সময়ে এ সোনাপাতি ফুল আমাদের দেশে দ্রæত বিস্তার লাভ করছে। ডাল কাটিংয়ের মাধ্যমে তৈরিকৃত ছোট গাছ বাসাবাড়ির বড় টবে চাষ সম্ভব। তাইতো ইদানিং বিভিন্ন বাসাবাড়ির টবে সোনাপাতির দেখা মিলে। তা ছাড়া মাঝারি থেকে একটু বড় গাছের দেখা মিলে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বাগান, পাকর্, উদ্যান ও দেশের বিভিন্ন স্থানের সড়ক-মহাসড়কের আইল্যান্ডে। উঁচু ভ‚মি থেকে মাঝারি উঁচু ভ‚মি ও প্রায় সব ধরনের মাটিতে চাষ উপযোগী ফুল গাছ। তা ছাড়া গাছ বেশ কষ্ট সহিষ্ণু। ছবি ও লেখা : মোহাম্মদ নূর আলম গন্ধী