ফুলের নাম বাসর লতা

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
নামে বাসর লতা হলেও সাধারণত যেসব ফুল বাসর সাজাতে ব্যবহার করা হয় তার তালিকায় নেই এর নাম। গঁাদা, গোলাপ, রজনীগন্ধা, বেলি বা গøাডিওলাসের মতো নানান বণির্ল ও সুগন্ধী ফুলের ভিড়ে মনোলোভা ফুল বাসর লতার ঠঁাই হয় না বাসর সজ্জায়। তারপরও বাসর লতার সৌন্দযর্ ¤øান হয়নি এতটুকুও। বাসার গেট, উঁচু দেয়াল বা মাচায় লতানো গাছে থোকা থোকা ঝুলন্ত বাসর লতার ফুল মৃদু বাতাসে দুলে বিনে পয়সায়ই তার অপার সৌন্দযর্ বিলায়। সমান্তরাল মাচায় বাসর সাজানোর ফুলের মতো চমৎকার নিখুঁত ভঙ্গিতে ঝুলে থাকে বলে সম্ভবত এদের নাম ‘বাসর লতা’। এই ফুলের পাপড়িগুলো পুরোপুরি খোলে না। ফুল দেখলে ছুঁতে ইচ্ছা করে কিন্তু গন্ধহীন। বাসর লতার বৈজ্ঞানিক নাম ঞযঁহনবৎমরধ সুংড়ৎবহংরং। এই ফুল আমাদের দেশে অনেকটাই নতুন। আমদানি করা হয় ভারত থেকে। বৈজ্ঞানিক নামের শেষাংশ ভারতের মহিসুরের স্মারণিক। এ কারণে ইংরেজিতে মায়সুর ক্লক ভাইন বা শুধু ক্লক ভাইন নামেও পরিচিত বাসর লতা। দেখতে অনেকটা মাধবী লতার মতো শক্ত লতার গাছ বাসর লতা। সাধারণত ১০ মিটার পযর্ন্ত লম্বা হতে পারে এ ফুলের গাছ। পাতার বিন্যাস বিপ্রতীপ, লম্বাটে, গভীর শিরাযুক্ত। পাতার দৈঘর্ ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার। বাসর লতার ঝুলন্ত মঞ্জরিতে তামাটে-লাল ফুল থাকে প্রায় সারা বছর। ফোটে পযার্য়ক্রমে। বতর্মানে আলঙ্কারিক গাছ হিসেবে পৃথিবীর সব উষ্ণমÐলীয় দেশে স্থান করে নিয়েছে বাসর লতা। আমাদের দেশে বাসর লতার পরিচিতি কম বললেই চলে। তবু কোথাও কোথাও এদের দেখা মিলে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গাডেের্ন এদের দেখা পাওয়া যাবে। বাসর লতা আছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গাডেের্নও। হলিক্রস স্কুল, বরিশাল অক্সফোডর্ মিশন হাউস ও ঢাকা সেন্ট যোশেফ হাই স্কুলে বাসর লতার আরও কয়েকটি গাছ আছে। এ ছাড়া বাসর লতা খুব একটা সহজলভ্য নয়। বাসর লতা দক্ষিণ ভারতের নীলগিরি পাহাড়ের কন্যাকুমারী অঞ্চলে অন্তত ৯০০ মিটার উচ্চতায় প্রাকৃতিকভাবেই জন্মে। লেখা ও ছবি : এম এ মোমিন