মুকুলে শোভিত আমবাগান

প্রকাশ | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

সবুজ শমার্ শাকিল, সীতাকুÐ
বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুযোর্গ না হলে এবং অনুক‚ল আবহাওয়া বজায় থাকলে এবার সীতাকুÐে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলার গ্রামীণ এলাকায় ও পাহাড়ে আবাদ করা আম বাগানের প্রতিটি আমগাছ মুকুলে শোভিত হয়ে আছে। এতে আমের মুকুল পরিচযার্য় ব্যস্ত সময় পার করছেন ভালো ফলনের স্বপ্নে বিভোর থাকা উপজেলার আম চাষিরা। ভালো ফলনের আশায় আমের মুকুলে কীটনাশক ওষুধ প্রয়োগ করছেন তারা। সীতাকুÐে রুপালি, আম্রপালি, ল্যাংড়া, গোপাল ভোগ, সূযার্পুরী, আশি^না, ছাতাপড়া, ফজলি, চিনি ফজলিসহ দেশি জাতের আমের মুকুলে ভরে গেছে বাগানগুলো। বাগানের পাশাপাশি সীতাকুÐ প্রায়ই বাড়িতেই একটি-দুটি করে আমগাছ দেখা যায়। আর যাদের রয়েছে আমগাছ তারা নিদ্বির্ধায় নিজের গাছের আম ভোগ করতে পারবেন। ইতোমধ্যে মুকুলের ভারে নুয়ে পড়ার মতো অবস্থা হয়েছে কিছু আম গাছের। সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পৌরসভার মহাদেবপুর চন্দ্রনাথ পাহাড়ের আমচাষি ফারুক হোসেন, ভূঁইয়া পাড়ার আছাদুরজ্জামান রাজু, কুমিরা আজিবর গাজীসহ অনেকেই আমগাছে স্প্রে করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তারা জানান, ভালো ফলনের আশায় গাছ মালিকরা কীটনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে পোকামাকড় নিবারণের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। পৌরসদরের কীটনাশক বিক্রেতা কবীর হোসেন জানান, চলতি বছর মুকুলের পরিচযার্ ও পোকা দমনের লক্ষ্যে কোবারিল-৮৫, ইনডোল, মিনসাইপার এবং ছত্রাকনাশক হিসেবে ওরিয়ান-৭২ ও এমিস্টোর ব্যবহার করছে আম চাষিরা। অনেকেই ডাইথেন এম-৪৫, সেভিন পাউডার ও রিপকট ব্যবহার করছেন। উপজেলা কৃষি কমর্কতার্ মো. সাফকাত রিয়াদ জানান, এবার আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় আমের পযার্প্ত মুকুল এসেছে। তবে এ সময় সামান্য বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন। এতে মুকুলের জন্য ভালো। শেষ পযর্ন্ত সব ঠিক থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।