ভেষজ উদ্ভিদ পুদিনা

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
পুদিনা গুল্মজাতীয় ভেষজ উদ্ভিদ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পুদিনা জন্মে। ইংরেজি ও অন্যান্য স্থানীয় নাম- গরহঃ, গবহঃযধ, গবহঃযড়ষ ইত্যাদি। পরিবার-খধসরধপবধব উদ্ভিদতাত্তি¡ক নাম- গবহঃযধ ধৎাবহংরং। আদিনিবাস জাপান, থাইল্যান্ড, চীন, ইন্দোনেশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। তা ছাড়া বাংলাদেশ, ভারত, আফ্রিকা ও অস্টেলিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে এর দেখা মিলে। পৃথিবীজুড়ে প্রায় ৬৫০ প্রজাতির পুদিনার দেখা মিলে এদের অধিকাংশই বহুবষর্জীবী এবং কিছু পরিমাণ পুদিনা রয়েছে যারা একবষর্জীবী। গাছ দ্রæতবধর্নশীল। উচ্চতা গড়ে ৬০ সেন্টিমিটার। রয়েছে এর ভূগভর্স্থ রাইজোম ও শাখা-প্রশাখা। পাতা গন্ধযুক্ত ও গাঢ় সবুজ রঙের এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ধূসর সবুজ। পাতার কিনারা করাতের মতো খঁাজ কাটা ও তাতে ছোট কঁাটা থাকে। লম্বায় প্রায় ৫ সেন্টিমিটার। খাড়া পুষ্পদÐে হাল্কা বেগুনি রঙের ক্ষুদ্রাকৃতি ফুল গুচ্ছভাবে ধরে। ফুল শেষে গাছে ফল হয়। ফল আকারে ক্যাপসুলের মতো এবং এর ভেতর থাকে ক্ষুদ্র আকারের বীজ। পুদিনা বেলে দো-অঁাশ থেকে দো-অঁাশ মাটিতে সবচেয়ে ভালো জন্মে। ভেজা হাল্কা স্যঁাতস্যঁাতে মাটি যেখানে পানি জমে না এরূপ স্থান এবং রৌদ্রউজ্জ্বল থেকে হাল্কা ছায়াযুক্ত স্থানে ও বাসাবাড়ির ছাদের টবে ও বেলকনির টবেও চাষ করা যায়। সাধারণত আদ্র আবহাওয়া ও আদ্র মাটিতে ভালো জন্মে। তবে পুদিনা জমে থাকা পানি সহ্য করতে পারে না; পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং প্রয়োজনে সেচ দিতে হবে। কাটিং চারার মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার করা হয়। কাটিং চারার ক্ষেত্রে ১০ সেন্টিমিটার দৈঘর্্য করে কাটিং নিতে হবে। চাষাবাদের জন্য পুদিনার ভালো ও জনপ্রিয় জাত-পিপারমিন্ট, স্পিয়ারমিন্ট ও অ্যাপেলমিন্ট। সাধারণত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস কাটিং চারা লাগানো হয়। তাছাড়া জমিতে পযার্প্ত রস থাকলে বছরের যে কোনো সময়ই লাগানো যায়। প্রতি ৩০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে কাটিং চারা লাগাতে হবে। ভেষজগুণে গুণান্বিত পুদিনার রয়েছে বহু রকম ভেষজ গুণÑ যেমন বদহজম, বমি, উদরাময়, মাথা ধরা নিয়ন্ত্রণ, কাশি, পেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রয়ণ, অ্যাজমা, ফুসফুস-শ^াসনালী পরিষ্কারে, স্তন ও লিভার ক্যান্সার ও ত¦কের ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ কাযর্করী। তা ছাড়া চা, পানীয়, জেলি, সিরাপ, ক্যান্ডি ও আইসক্রিমের সঙ্গে ব্যবহার হয়। আমদের দেশে পুদিনার চাটনি, সালাদ ও ভতার্র বেশ কদর রয়েছে এবং মিন্ট অয়েল হতে প্রাপ্ত মেন্থল বহু কসমেটিক্স ও পারফিউম তৈরির প্রধান উপাদান। ছবি ও লেখা : মোহাম্মদ নূর আলম গন্ধী