নাসাির্র করে চায়নার ভাগ্য বদল

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

মো. নজরুল ইসলাম, মধুপুর
টাঙ্গাইলের মধুপুরে নাসাির্র বাগান করে ভাগ্য বদল করেছেন এক সময়ের দিন না চলা চায়না বেগম। উপজেলার রানিয়াদ পশ্চিম পাড়া গ্রামের বাসিন্দা চায়না বেগমের জীবনযাপন অনেকের কাছে এখন ঈষর্ণীয়। স্বামী-স্ত্রী, এক মেয়ে আর শ^শুর-শাশুড়ি নিয়ে অনেক ভালো আছেন তিনি। চায়না বেগম জানান, নাসাির্র করে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে তাদের পঁাচ সদস্যের সংসারে। কয়েক বছর আগেও স্বামী আনোয়ার হোসেন অন্যের নাসাির্রতে দিনমজুরের কাজ করে যা আয় করত তা দিয়ে সংসার চলত না। অথের্র অভাবে সংসার চালানো তার পক্ষে খুবই কষ্টের ব্যাপার ছিল। আনোয়ার হোসেনের পক্ষে সংসারের ব্যয় ভারসহ একমাত্র মেয়েকে শিক্ষিত করে তোলার স্বপ্নে বড় বাধা ছিল আথির্ক দৈন্যতা। কিভাবে সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে, এ নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল আনোয়ার চায়না দম্পতির। তবে স্বামী-স্ত্রী মিলে নিজের পায়ে দঁাড়ানোর প্রবল ইচ্ছা ও চেষ্টা ছিল তাদের। চেষ্টা থাকা সত্তে¡ও অথের্র অভাবে কোনো কিছু করতে না পারার সময়টায় বাংলা-জামার্ন স¤প্রীতি (বিজিএস), মাইক্রোফাইন্যান্স প্রোগ্রাম মধুপুর শাখার ক্রেডিট অফিসার আজাদুল ইসলাম পাশে এসে দঁাড়ান। ২০১৭ সালের ওই সময় বিজিএসের সহায়তায় চায়না বেগম হিমছড়ি সমিতির সদস্য হয়ে ৩০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করে শুরু করেন নিজের মতো কিছু করার স্বল্প পরিসরে নিজের ভিটা জমিতে নাসাির্র বাগান শুরু করে সফলতার মুখ দেখা শুরু করেন। বছর শেষে মোটামুটি ভালো আয় হয় দেখে খুশি হয়ে পরবতীর্ সময়ে ২য় দফায় এক লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করে নাসাির্র বাগান আরো স¤প্রসারিত করেন। বতর্মানে ওই দম্পতি ১.৭ একর জমিতে নাসাির্র চাষ করছেন। এখন তারা ভালোভাবে সংসার চালিয়ে তাদের মেয়েকে মধুপুরের প্রাইভেট স্কুলে লেখাপড়া করাচ্ছেন। সাহস আর ইচ্ছা শক্তির বলে দারিদ্রকে জয় করে সংসারে এনেছেন স্বচ্ছলতা। আলাপকালে চায়না বেগম আরো জানান, অভাবের কারণে ভালো মতো দুবেলা খাবার খাওয়া তাদের জন্য খুবই কষ্টের ছিল। আথির্ক ঋণ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে বাংলা-জামার্ন স¤প্রীতি (বিজিএস) সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সাহস যোগিয়েছে। স্বামী আনোয়ার হোসেন জানান, এক সময়কার টানাটানির সংসারে স্ত্রী ও তার যৌথ চেষ্টার ফলে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। এখন তাদের নাসাির্রতে ৩ নারীসহ চার জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করে। এখানে তাদের কমর্সংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তাদের মতে, আনোয়ার চায়নার বাৎসরিক আয় প্রায় আড়াই লাখ টাকা।