সিলভিয়া ফুল

গাছ কিছুটা ঝোপালো, শাখা-প্রশাখা ছড়ানো থাকে। শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগে লম্বা মঞ্জুরিতে অসংখ্য ফুল ফোটে। এর ফুল মঞ্জরির নিচ থেকে ফোটা শুরু করে ধীরে ধীরে ওপরের দিকে ওটে। ফুল গন্ধহীন। সবুজ পাতার মাঝে লাল রঙের ফুল খুবই নজরকাড়া। দূর থেকে যে কারও নজর কাড়বে। বাগানের সৌন্দর্য বিকাশে এর জুড়ি নেই...

প্রকাশ | ৩১ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সিলভিয়ার অপর নাম সিলভিয়া রেড। টকটকে লাল রঙের কারণে এই ফুলের এমন নামকরণ। সিলভিয়ার ফুটন্ত ফুল টকটকে লাল বা সিঁদুর লাল হয়ে থাকে। গুল্মজাতীয় ফুল গাছ। এর উচ্চতা গড়ে ২ থেকে ৩ ফুট হয়ে থাকে। পাতা যৌগিক, ত্রিকোণাকার ও রসালো নরম। তা ছাড়া শিরা-উপশিরা স্পষ্ট, রং সবুজ, কিনারা করাতের মতো খাঁজ কাটা থাকে। গাছ কিছুটা ঝোপালো, শাখা-প্রশাখা ছড়ানো থাকে। শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগে লম্বা মঞ্জুরিতে অসংখ্য ফুল ফোটে। এর ফুল মঞ্জুরির নিচ হতে ফোটা শুরু করে ধীরে ধীরে উপরের দিকে ফোটে। ফুল গন্ধহীন। সবুজ পাতার মাঝে লাল রঙের ফুল খুবই নজরকাড়া। দূর থেকে যে কারো নজর কাড়বে। বাগানের সৌন্দর্য বিকাশে এর জুড়ি নেই। সাধারণত শীতকালীন ফুল। তবে বসন্তের পুরু সময় জুড়ে এর ফুল ফোটতে দেখা যায়। এর ফুলের চারা রোপণের উপযুক্ত সময় অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস। রৌদ্রউজ্জ্বল পানি নিকাশের সুবিধাযুক্ত দোআঁশ থেকে বেলে-দোআঁশ মাটি এ ফুল চাষের জন্য উপযুক্ত। প্রয়োজনে সেচ দিতে হবে। সরাসরি মাটি ও টবে রোপণ উপযোগী ফুল সিলভিয়া। আমাদের দেশে এ ফুলটি নতুন- তবে আকর্ষণীয় রং-রূপের কারণে ফুলটি দ্রম্নত বিস্তার লাভ করেছে। তা ছাড়া আমাদের দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে বেশ। তাইতো বাসাবাড়ি বাগান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বাগান, পার্ক, উদ্যান, ছাদ বাগান ও লনে এ ফুল চোখে পড়ে। ফুল শেষে গাছে বীজ হয়। বীজ আকারে ক্ষুদ্রাকৃতির। বীজের মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার করা হয়। ছবি ও লেখা : মোহাম্মদ নূর আলম গন্ধী