লাল মুক্তঝুরি ফুল

প্রকাশ | ০৭ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
লাল মুক্তঝুরি ভারত উপমহাদেশীয় উদ্ভিদ। অন্য নাম মুক্তবর্ষী। তবে অঞ্চলভেদে আমাদের দেশে এ ফুলকে অনেকে মালা ফুল নামে চিনেন; এর কারণ ফুটন্ত ফুল দেখতে মালার মতো দেখায় বলে। ইংরেজি নাম- জবফ যড়ঃ পধঃ্থং :ধরষ, উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম- অপধষুঢ়যধ যরংঢ়রফধ। এটি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে অপধষুঢ়যধ নামে পরিচিত। হিন্দিতে একে কুপ্পী বলে অভিহিত করা হয়। ভারত উপমহাদেশের সমতল ভূমিতে লাল মুক্তঝুরি গাছের দেখা পাওয়া যায়। তা ছাড়া আমাদের দেশেও রয়েছে এ ফুলের ব্যাপক বিস্তৃতি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বাগান, খোলা মাঠ, রাস্তার ধার, পতিত জমি, বন-জঙ্গলের ধার, পাহাড়ি এলাকা এবং বাসা-বাড়ির আশপাশে এর দেখা মিলে। এ ফুলের ক্ষেত্রে বেশি পরিচর্যা ও যত্ন প্রয়োজন হয় না। তা ছাড়া এর রোগবালাই আক্রমণ কম হয়। প্রায় সব ধরনের মাটি ও রৌদ্রউজ্জ্বল থেকে হাল্কা ছায়াযুক্ত স্থান এবং ভেজা থেকে স্যাঁতসেঁতে স্থানেও এ ফুল গাছ জন্মে। গাছের গড় উচ্চতা ৭৫ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। গাছের শাখা-প্রশাখা ছড়ানো। এর কান্ড ও শাখা-প্রশাখা খুব বেশী শক্তমানের নয়। এর ডিম্বাকৃতির পাতা লম্বায় ৩ থেকে ৮ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে, রং সবুজ,কিনারা করাতের মতো খাঁজ কাটা ও শিরা-উপশিরা স্পষ্ট। লক্ষণীয় বিষয় পাতার চেয়ে পাতার বোঁটা লম্বা। পত্র কক্ষ থেকে লম্বা মঞ্জুরিতে ফুল ধরে এবং ফুল নীচ দিকে ঝুলে থাকে। এর মঞ্জুরি লম্বায় প্রায় ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। রং টকটকে লাল। ফুল ফোটার মৌসুম প্রধানত গ্রীষ্ম ও বর্ষা। তবে প্রায় সারা বছরই ফুল ফোটে। ফুল গন্ধহীন। ফুল ফুটন্ত মুক্তঝুরি গাছের সৌন্দর্য মনোরম। ফুল শেষে গাছে বীজ হয়। বীজ আকারে ক্ষুদ্রাকৃতির। বীজের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করা হয়। মুক্তঝুরির রয়েছে ভেষজ নানান রকম গুণাগুণ। এর পাতা, শিকড়, মূল ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এর গাছে যখন ফুল ফোটে তখন ঔষধের কাজে লাগানোর উপযুক্ত হয়। ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানী, নিউমনিয়া, কোষ্টকাঠিন্য, বদহজম, ত্বকের ফোঁড়া সারাতে এবং বাত ব্যথায় বেশ উপকারী। ছবি ও লেখা : মোহাম্মদ নূর আলম গন্ধী