উপক‚লের সৌন্দযর্ আকন্দ ফুল

প্রকাশ | ২২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

মো. মামুন তানভীর, দশমিনা (পটুয়াখালী)
উপক‚লীয় দশমিনা উপজেলার একটি পরিচিত গাছ হচ্ছে আকন্দ। এটি একটি মাঝারি ধরনের ঝোপজাতীয় উদ্ভিদ। ৮ থেকে ৭ ফুট পযর্ন্ত লম্বা হয় গাছটি। গাছের ছাল ধূসর বণের্র এবং কাÐ শক্ত ও কচি ডাল লোমযুক্ত। আকন্দগাছের পাতা ৪ থেকে ৮ ইঞ্চি লম্বা উপরিভাগ মসৃণ এবং নিচের দিক তুলোর মতো। গাছের পাতা, শাখা ভাংলে দুধের মতো সাদা আঠা বের হতে দেখা যায়। সাদা বা বেগুনি বণের্র ফুল হতে দেখা যায়। উপক‚লীয় পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের আরজবেগী-আউলিয়াপুরের তেঁতুলিয়ার বøক সাইডে দঁাড়িয়ে দেখা যায় নদী ও উপক‚লের দৌন্দযর্। বলা চলে উপজেলার একমাত্র ভ্রমণ স্পট। এই ভ্রমণ স্পটে গেলে দেখা মিলবে সারি সারি আকন্দগাছের। পেট জ্বালায় আকন্দ পাতার ওপরের পিটে সরিষার তেল মাখিয়ে পাতাটি অল্প গরম করে পেটের ওপর রাখলে বা ছেঁক দিলে পেট কামড়ানো বা পেট জ্বালা বন্ধ হয়। এসিডিটি দেখা দিলে ০.৬৫ গ্রাম পরিমাণ আকন্দ পোড়া ছাই পানিসহ পান করলে সঙ্গে সঙ্গে উপকার পাওয়া যায়। শ্বাসকষ্টে আকন্দের শিকড়ের ছাল প্রথমে গুড়া করে পরে আকন্দের আঠায় ভিজিয়ে রেখে পরে শুকিয়ে নিতে হবে। এর পর তা চুরট বানিয়ে ধূমপান করলে শ্বাসকষ্ট ভালো হয়। নিউমোনিয়াজনিত কারণে আকন্দ পাতার সোজা দিক ঘি মেখে ব্যথার জায়গায় বসিয়ে লবণের পঁুটলি দিয়ে ছেঁক দিলে উপকার পাওয়া যায়। খোস-পাচড়া বা একজিমার ক্ষেত্রে আকন্দের আঠার সঙ্গে ৪ গুণ সরিষার তেল মিশিয়ে গরম করে এই গরম তেলের সঙ্গে কঁাচা হলুদের রস মিশিয়ে খোস-পাচড়ায় মাখলে তা ভালো হয়ে যায়। পা মচকালে এই আকন্দ পাতা দিয়ে গরম ছেঁক দিলে ব্যথা উপশম হয়। আকন্দ চুলের রোগ, ব্যথা এবং বিষনাশে বিশেষ কাযর্কর। হঁাপানি রোগের মহৌষধ আকন্দ পাতা। ১৪টি আকন্দ ফুলের মাঝখানে চৌকো অংশটি নিতে হবে। তার সঙ্গে ২১টি গোল মরিচ দিয়ে একসঙ্গে বেটে ২১টি বড়ি বানাতে হবে। প্রতিদিন সকালে পানি দিয়ে ১টি বড়ি খেলে হঁাপানি রোগের উপশম হয়। এই ওষুধ খাওয়ার সময় পথ্য হিসেবে শুধু দুধ ভাত খেতে হয়। এতে শ্বাসকষ্ট কেটে যায়।