কৃষির সাম্প্রতিক সাফল্য বিশ্ব স্বীকৃতি পেয়েছে : কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশ | ২২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

কৃষি ও সম্ভাবনা ডেস্ক
কৃষির সাম্প্রতিক সাফল্য বিশ্ব স্বীকৃতি পেয়েছে। হাইব্রিডের কারণে আমরা এখন সারাবছর সবজি পাচ্ছি। সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থানে রয়েছে। গত রোববার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) গাবতলী মিরপুর খামারস্থ বীজ ভবনে বীজআলু হিমাগার, গ্রিন হাউস, সেন্ট্রাল টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি ও বৃক্ষরোপণ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আসলামুল হক এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃতির দেশে পরিণত হয়। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ বলেন, উন্নতমানের বীজ ব্যবহারে ফলন শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ বৃদ্ধি পায়। একক ফসল হিসেবে ধানের পরে আলুর অবস্থান। আমাদের অপার সম্ভাবনা রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা অজের্নর। বিএডিসির টিস্যুকালচার ও মলিকুলার ল্যাব স্থাপনের ফলে মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদনের পাশাপাশি আলু রপ্তানিতে আমাদের প্রতিবন্ধকতা দূর হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হতে হলে আমাদের কৃষির প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। পরে দেশীয় ফলের চারা রোপণের মধ্য দিয়ে অতিথিগণ বিএডিসির বৃক্ষরোপণ উৎসবের উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান অনুষ্ঠানে মো. নাসিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊধ্বর্তন কমর্কতার্রা উপস্থিত ছিলেন। বিএফআরআই প্রাঙ্গণে মৎস্য প্রযুক্তি মেলা মো. নাবিল তাহমিদ, বাকৃবি জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৮ উপলক্ষে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) কতৃর্ক ০৫ দিন ব্যাপী মৎস্য প্রযুক্তি মেলা আয়োজন করা হয়েছে। গত শুক্রবার বিএফআরআই অডিটরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করেন ধমর্মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। ‘স্বয়ংসম্পূণর্ মাছে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ ¯েøাগানকে সামনে রেখে ময়মনসিংহের সাকির্ট হাউস প্রাঙ্গণে ২০-২৪ জুলাই পযর্ন্ত ওই প্রযুক্তি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় ২২টি স্টল রয়েছে। মৎস্য প্রযুক্তি মেলা সকাল ১০.০০ থেকে রাত ৮.০০ টা পযর্ন্ত জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিউট, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মৎস্য সম্পকির্ত সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। ধমর্মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, একসময় বাংলাদেশে দুভির্ক্ষ হতো। কিন্তু বতর্মানে বাংলাদেশে খাদ্যের অভাব নেই। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূণর্তা ধরে রাখতে গবেষণার ওপর আরও জোড় দিতে হবে। সকল গবেষক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের মানুষের কমর্সংস্থান বৃদ্ধি করতে হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব অসীম কুমার বালা এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন আহমদ।