গ্রীষ্মের ফুল সুরভীরঙ্গন

প্রকাশ | ২১ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রঙ্গনের রয়েছে বাহারি রঙের ফুল। সাদা, লাল, গোলাপি, সোনালিসহ বিভিন্ন রঙের ফুল। আমাদের দেশে লাল রঙের রঙ্গন ফুলই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। সাদা রঙের রঙ্গন কমই চোখে পড়ে। মিষ্টি সুগন্ধ বা সৌরভ পেতে হলে আপনাকে খোঁজতে হবে সাদা রঙ্গন। যা অন্য কোনো রঙ্গনে খুঁজে পাবেন না। আমাদের দেশে এ ফুলটি সাদারঙ্গন, শ্বেতরঙ্গন, সুরভীরঙ্গন, সুগন্ধী রঙ্গন, গন্ধাল রঙ্গন নামে পরিচিত। সুগন্ধ আর সৌরভে ভরা এ রঙ্গনের আদি নিবাস সিঙ্গাপুর। এরা গুল্ম বা ছোট আকার-আকৃতির বৃক্ষ। গাছ তিন থেকে ছয় মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। বৃদ্ধি ধীর গতি সম্পন্ন। গাছের কান্ড ও শাখা-প্রশাখা শক্ত মানের। শাখা-প্রশাখা ছড়ানো ও অধিক হয়। পাতা গাঢ় সবুজ, মধ্যশিরা স্পষ্ট, আকারে বলস্নকার, দৈর্ঘ্য ৭ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার ও বেশ পুরু। বাগানের শোভা বর্ধনে রঙ্গন ফুল ও ফুল গাছের ভূমিকা অতুলনীয়। তা ছাড়া রঙ্গন শোভাবর্ধনকারী উদ্ভিদ হিসেবেও বেশ পরিচিত। এর প্রস্ফুটন মৌসুম প্রধানত গ্রীষ্ম। তাইতো গ্রীষ্মের শুরুতে বাগানে প্রস্ফুটনের মাধ্যমে প্রকৃতিতে নিজের অস্তিত্বের জানান দেয় সুরভীরঙ্গন। তবে এর প্রস্ফুটন সময়কাল প্রায় বর্ষা ঋতু পর্যন্ত এবং তখনও গাছে কম পরিমাণে ফুল ফোটতে দেখা যায়। প্রায় প্রতি শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগে গুচ্ছবদ্ধ থোকায় ফুল ধরে। ফুল ফুটন্ত গাছ বেশ নজরকাড়া এবং ফুলে বিভিন্ন পতঙ্গের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এর ফুল আকারে ক্ষুদ্র ও নলাকৃতির, লম্বায় ৬ থেকে ৮ মি.মি.। এর ফুলে ক্ষুদ্রাকৃতির পাপড়ি সংখ্যা ৪টি, মাঝে পরাগ অবস্থিত। নলাকৃতির ফুলে অসংখ্য পাপড়ি প্রস্ফুটিত হয়ে তারকা খচিত থোকা ফুলে পরিণত হয়। ডাল কাটিং পদ্ধতির মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার করা যায়। সরাসরি মাটিতে ও টবে রোপণ উপযোগী ফুল গাছ। উঁচু থেকে মাঝারি উঁচু ভূমি ও প্রায় সব ধরনের মাটিতে সুরভীরঙ্গন গাছ জন্মে। আমাদের দেশের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় এ ফুল গাছ বেশি দেখা যায়। সুরভীরঙ্গন তার সৌরভ ছড়িয়ে দিক প্রকৃতির চারিপাশে আর তারই সৌরভে সুরভিত হোক ফুল প্রেমীদের হৃদয়। লেখা ও ছবি : মোহাম্মদ নূর আলম গন্ধী