কৃষি সংবাদ

প্রকাশ | ২১ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সরকারের দৃষ্টি গ্রামের উন্নয়নে : কৃষিমন্ত্রী কৃষি ও সম্ভাবনা ডেস্ক আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার ছিল 'আমার গ্রাম আমার শহর': প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে। উন্নয়ন চিন্তার মধ্যে গ্রামকে স্থান দেয়া। নাগরিক আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা এবং নাগরিক অধিকার গ্রামেও নিশ্চিত করা। অতি শিগগিরই দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে- যেখানে বর্তমানে ৬০ শতাংশ গ্রাম এলাকায় বিদ্যুৎ রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে সব গ্রামকে জেলা-উপজেলা শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। কর্মসংস্থানের জন্য জেলা-উপজেলায় কলকারখানা গড়ে তোলা হবে। কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইফরি আয়োজিত গেস্নাবাল ফুড পলিসি রিপোর্ট উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দারিদ্রপিড়িত অধিকাংশই গ্রামাঞ্চলে বসবাস করে। গ্রামে নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি, মৌলিক প্রয়োজনগুলোর অভাব এবং সুযোগ সীমিত। শহরের মানুষের খাদ্য সরবরাহ করে থাকে গ্রামের কৃষক। কৃষক বাঁচলে দেশ বাচবে, কৃষক বাঁচাতে হলে কৃষি পণ্যের সঠিক মূল্য নিশ্চিত করতে হবে, এ খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। বর্তমান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার খাত হচ্ছে আধুনিক ও বাণিজ্যিক কৃষি, সে লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছে সরকার। উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে কৃষিকে অবশ্যই বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর করে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। মৎস্য উন্নয়ন কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনা কৃষি ও সম্ভাবনা ডেস্ক মৎস্য খাতের চলমান ২২টি প্রকল্পের ধীরগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এমপি। গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মৎস্য উপখাতের ২২টি চলমান প্রকল্পের ৯ মাসের (জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত) অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি চুক্তিমোতাবেক ১০০% কাজ আদায়ের স্বার্থে ঠিকাদারদের অগ্রিম বিল প্রদান বন্ধসহ টেন্ডারের চুক্তিতে তিনবার কাজের ব্যর্থতার দায়ে ঠিকারদারদের কালো তালিকা ভুক্তির শর্তযুক্ত করতে প্রকল্প পরিচালকদের নির্দেশ দেন। মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মৎস্য উপখাতের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির এ রিভিউ সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান দিলদার আহমদ, মৎস্য অধিদপ্তরের ডিজি আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি ড. ইয়াহিয়া মাহমুদসহ প্রকল্পের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। বিজেআরআই-এ কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত কৃষি ও সম্ভাবনা ডেস্ক কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান কমে ৭০ ভাগ থেকে শতকরা ১৪ ভাগে নেমে এসেছে। জিডিপিতে কমলেও এখনো দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে কৃষি খাতের অবদান অনেক বেশি। গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) এর সম্মেলন কক্ষে 'পাট গবেষণার অর্জিত সাফল্য ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা'বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সোনালি আঁশ ও সোনার বাংলা একে অপরের পরিপূরক। সোনালি আঁশের সম্ভাবনাতেই বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় শিল্পায়ন হচ্ছে। উন্নত কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, যে প্রযুক্তি এসেছে তা সঠিকভাবে কাজে লাগানো গেলে অবশ্যই মানুষের খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে দেশকে সমৃদ্ধশালী করা যাবে। রপ্তানি বহুমুখীকরণেও কৃষি খাত বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, উদ্ভাবিত পাট পণ্যের বাণিজ্যিকীকরণে বিশেষ তহবিল গঠন করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে দিয়ে একটি বড় কর্মশালা আয়োজন করা দরকার। এতে পাটজাত দ্রব্যের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাবে। কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, পাটের এমন জাত উদ্ভাবন করতে হবে কম সময়ে যার ফলন বেশি এবং সারা বছর চাষ করা যায়। বিগত ১০ বছরে পাট গবেষণার সাফল্য ও কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সেমিনারের আয়োজক বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) মহাপরিচালক ড. মো. আসাদুজ্জামান।