তুঁতফল

প্রকাশ | ১২ মে ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
তুঁত ছোট আকৃতির পত্রঝরা বৃক্ষ। পরিবার-গড়ৎধপবধব, উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম- গড়ৎঁং ওহফরপধ, ইংরেজি নাম-গঁষনবৎৎু। পাতা ডিম্বাকার ও খসখসে, রং সবুজ, শিরা-উপশিরা স্পষ্ট, কিনারা করাতের মতো খাঁজকাটা এবং পাতার অগ্রভাগ সূচালো। কান্ড ও শাখা-প্রশাখা খুব বেশি শক্তমানের নয়। শাখা-প্রশাখা ছড়ানোভাবে থাকে। আমাদের দেশে রেশম গুটি পোকা চাষের জন্য তুঁত গাছের গুরুত্ব রয়েছে। মূলত, এ জন্য চাষ করা হয়। এর পাতা রেশম পোকার প্রিয় ও প্রধান খাদ্য। তবে উত্তর ও দক্ষিণ ভারত এবং আফগানিস্তানে তুঁত চাষ করা হয় ফলের জন্য। আমাদের দেশে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, গাজীপুর ও দিনাজপুর এলাকায় অধিক তুঁত গাছ উৎপাদিত হয়। সাধারণত শাখা কাটিং পদ্ধতির মাধ্যমে তুঁত গাছের বংশ বিস্তার করা হয়। বন্যামুক্ত উঁচু জমি, উর্বর দো-আঁশ থেকে বেলে দো-আঁশ মাটি তুঁত চাষের জন্য উপযোগী। তুঁত গাছে ফুল ফোটার সময় ফেব্রম্নয়ারি মাস এবং এর ফল পরিপক্কতা আসে মার্চ থেকে এপ্রিল মাসে। গাছের নতুন শাখা-প্রশাখায় সাদা রঙের ক্ষুদ্রাকৃতির অসংখ্য ফুল ধরে। ফুল শেষে ফল আসতে শুরু হয়। তা ছাড়া তুঁত গাছের বেলায় এর ফুল ও ফল ক্রমান্বয়ে ধরতে দেখা যায়। তাই একই গাছে ফুল, কাঁচা ফল, আধাপাকা ফল ও পাকা ফল চোখে পড়ে। এর ফল পত্র কক্ষ থেকে থোকায় গুচ্ছভাবে ধরে। যা গুচ্ছবদ্ধ ও আঙ্গুরের মতো থোকা- থোকা। ফল ধরা তুঁত গাছের সৌন্দর্য বেশ দৃষ্টিনন্দন। এর কাঁচা ফলের রং সবুজ, পাকা ফল গোলাপি লাল থেকে লাল রঙের এবং সম্পূর্ণ পাকা ফল কালচে রঙের। ফল স্বাধে মিষ্টি এবং বেশ রসালো। এর ফলে বিদ্যমান রয়েছে বহু রকম পুষ্টি উপাদান। যেমন- আমিষ, শর্করা, চর্বি, হজমযোগ্য আঁশ, ক্যালসিয়াম, লৌহ ও ভিটামিন-সি। তবে সব চেয়ে বেশি পরিমাণে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ক্যারোটিন। তা ছাড়া পাকা তুঁত ফলের রস থেকে জ্যাম, জেলি, স্কোয়াস ও পানীয় তৈরি করা যায়। ছবি ও লেখা : মোহাম্মদ নূর আলম গন্ধী