নয়নাভিরাম দুপুরমণি

প্রকাশ | ২৬ মে ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ভরদুপুরে নয়নাভিরাম রং রূপে প্রস্ফুটনের মাধ্যমে নিজের অস্তিত্বের জানান দেয় দুপুরমণি ফুল। ফুলটি দুপুরে ফোটে তাই এমন নামকরণ। তা ছাড়া অঞ্চলভেদে রয়েছে নানান নাম- দুপুরচন্ডী, দুপুরমালতি, বন্দুক, বন্ধুলী, কটলতা উলেস্নখযোগ্য। এটির ইংরেজি নাম-গরফফধু ভষড়বিৎ, ঝপধৎষবঃ গধষষড়,ি ঈড়ঢ়ঢ়বৎ ঈঁঢ়ং, ঋষড়ৎরসঢ়রধ, ঘড়ড়হ ঋষড়বিৎ, ঝপধৎষবঃ চবহঃধঢ়বঃবং ইত্যাদি। উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম- চবহঃধঢ়বঃবং চযড়বহরপবধ, পরিবার- গধষাধপবধব। আদিনিবাস দক্ষিণ এশিয়া। আমাদের দেশের প্রায় সকল স্থানে রয়েছে এ ফুলের বিস্তৃতি ছোট বড় সবার কাছে একটি জনপ্রিয় নাম। দুপুরমণি বর্ষজীবী গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। গাছের কান্ড অর্ধকাষ্ঠল, উচ্চতা গড়ে ৩ থেকে ৫ ফুট হয়ে থাকে। শাখা-প্রশাখা লম্বা ও ছড়ানো। প্রাপ্তবয়স্ক গাছ ঝাকরা আকার ধারণ করে। পাতার রং উজ্জ্বল সবুজ, খসখসে, কিনারা খাঁজকাটা, লম্বায় ৬ থেকে ১০ সেন্টিমিটার, অগ্রভাগ সরু। নতুন শাখা-প্রশাখার পত্র কক্ষ থেকে ফুল ফোটে। ফুল ফোটার প্রধান মৌসুম বর্ষা। তবে এর ব্যাপ্তি হেমন্তকাল অবধি। রয়েছে বাহারি রঙের ফুল। সিঁদুর লাল রং, হাল্কা গোলাপি বা সাদা রঙের ফুল। তবে আমাদের দেশে লাল রঙের ফুলের দেখা মিলে বেশি। ফুল চওড়ায় ২ সেন্টিমিটার, গন্ধহীন, নরম কোমল পাপড়ি পাঁচটি, মাঝে আকর্ষণীয় মিশ্র রঙের পরাগ অবস্থিত। ফোটন্ত ফুল দ্রম্নত সময়ের মাঝে জিমিয়ে গিয়ে ঝরে যায়। ফুল শেষে গাছে ফল ধরে। ফলের আকার গোলাকৃতির, রং প্রথমে সবুজ এবং পরিপক্ক ফল কালচে রং ধারণ করে। পাঁচ প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট ফলের প্রতি প্রকোষ্ঠে ৮ থেকে ১২টি করে বীজ থাকে। বীজের মাধ্যমে ও শাখা কাটিং করে এর বংশ বিস্তার করা যায়। সাধারণত বীজের ব্যবহার অধিক। উঁচু-নিচু সব ধরনের মাটিতে দুপুরমণি জন্মে। তবে সুনিষ্কাশিত মাটি ও রৌদ্রজ্জল পরিবেশ দুপুরমণি ফুলের জন্য অত্যাবশ্যক। দুপুরমনির রয়েছে ভেষজ নানান গুণাগুণ। তাই গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে প্রিয় উদ্ভিদ দুপুরমণি। ছবি ও লেখা : মোহাম্মদ নূর আলম গন্ধী