কৃ ষি বা জে ট

বরাদ্দ বেড়েছে কিন্তু ভর্তুকি বাড়েনি

প্রকাশ | ১৬ জুন ২০১৯, ০০:০০

কৃষিবিদ এম আব্দুল মোমিন
বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে কৃষি খাতে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকারও বেশি। যা মোট বাজেটের ৫.৪ অংশ। এর মধ্যে কৃষিতে ভর্তুকির জন্য প্রস্তাব রাখা হয়েছে গতবারের ন্যায় ৯ হাজার কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে নতুন বছরে কৃষি খাতের জন্য এ বরাদ্দ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেট ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। পাশাপাশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে- কৃষি গবেষণা, কৃষি পুনর্বাসন, আধুনিক চাষাবাদে কলাকৌশল সম্প্রসারণ ও উন্নতমানের বীজ উৎপাদন কার্যক্রমকে। প্রতিকূল আবহাওয়া মোকাবেলা করেই গত ১০ বছরে কৃষি খাতে ৩.৭ শতাংশ গড় প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। যার পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করেছে এ খাতে ভর্তুকি। অর্থমন্ত্রীর অসুস্থতার কারণে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বাজেট বক্তৃতায় তাই উঠে এসেছে শস্যের বহুমুখীকরণ, খামার যান্ত্রিকীকরণ, তাপমাত্রা সহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবনে সরকারি প্রতিশ্রম্নতির কথা। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অব্যাহত রাখতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে কৃষি খাতে আগের বছরের চেয়ে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ায়। যা মোট বাজেটের ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। তারও আগের বছরে সংশোধিত বাজেটে কৃষি খাতের বরাদ্দ ছিল ১০ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। যা ছিল মোট বাজেটের ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ। কৃষিতে ভর্তুকি কমাতে দাতা সংস্থা ও দেশের কয়েকটি বিদেশি সাহায্য নির্ভর এনজিও চাপ দিলেও সরকার কৃষি উন্নয়ন ও কৃষকের স্বার্থে সেটা আমলে নেয়নি। বৈরী প্রকৃতি ও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও সারের ঊর্ধ্বমুখী মূল্য বিবেচনায় প্রস্তাবিত বাজেটে ভর্তুকি ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা গত অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ভর্তুকির সমান। যদিও গত অর্থবছরে প্রণোদনার প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা অব্যয়িত ছিল। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে বাজেটে কৃষি খাতকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অব্যাহত ও সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার এ খাতকে গুরুত্ব দিয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে কৃষি খাতের বরাদ্দ ছিল ১০ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। যা ছিল মোট বাজেটের ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি খাতে মোট ১৩ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছিল। সংশোধিত বাজেট অনুযায়ী কৃষি খাতের বরাদ্দ কমে শেষ পর্যন্ত ছিল ১০ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ভর্তুকির বরাদ্দ ছিল ৬ হাজার কোটি টাকা। আর প্রণোদনা আছে গতবারের মতোই ৯ হাজার কোটি টাকা। এবারও শূন্য শুল্কহার অব্যাহত রাখা হয়েছে সার, বীজ, কীটনাশক আমদানিতে। মৎস্য, পোল্ট্রি ও দুগ্ধ শিল্পে খাদ্য সামগী্র ও উপকরণ আমদানিতে শুল্ক ও কর অব্যাহতি বহাল থাকছে। কৃষির জন্য অনুকূল সেচ ও অবকাঠামো সুবিধা বাড়ানোর অংশ হিসেবে বেশকিছু নতুন পদক্ষেপের প্রস্তাব করা হয়েছে।