বিলুপ্তপ্রায় ভেষজ কুলঞ্জন

প্রকাশ | ২৩ জুন ২০১৯, ০০:০০

মোহাম্মদ নূর আলম গন্ধী
কুলঞ্জন ভেষজ গুণে গুণান্বিত এক উদ্ভিদ। এর রয়েছে ভেষজ গুণাগুণ। কাব্যিক নাম হৈমবতী, আঞ্চলিক নাম আদাবাউস। পরিবার-তরহমরনবৎধবধব, উদ্ভিদতাত্ত্ব্বিক নাম-অষঢ়রহরধ গধষধপধহংরং। আদিনিবাস ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া। তবে আমাদের দেশের প্রকৃতি পরিবেশে এ উদ্ভিদ জন্মে বহু আগে থেকে। উঁচু থেকে মাঝারি উঁচু ভূমি ছায়াযুক্ত আদ্র ও ভেজামাটি এ উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে সহায়ক। তা ছাড়া আমাদের দেশের পাহাড়ি অঞ্চলে রয়েছে এর ব্যাপক উপস্থিতি। ছায়াঘেরা পাহাড়ি অঞ্চল এদের অত্যন্ত পছন্দের। উপকারী এ উদ্ভিদ আমাদের অগ্যতা অবহেলায় আজ আমাদের দেশে বিলুপ্তির পথে। দিন দিন এর সংখ্যা কমে যাচ্ছে আগেকার মতো আর চোখে পড়ে না। গাছ উচ্চতায় গড়ে প্রায় ৩ থেকে ৪ মিটার হয়ে থাকে। এর জলপাই রঙের পাতা মসৃণ ও লম্বাকৃতির। লম্বায় প্রায় ১ মিটার, মধ্যশিরা স্পষ্ট। কুলঞ্জন গাছ ঝোপালোভাবে জন্মে। কন্দের মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার ঘটে। এর কন্দ আদার মতো। কুলঞ্জন গাছে বসন্তে ফুল ফোটে। ফুল ফোটার ব্যাপ্তি গ্রীষ্ম অবধি। এর ফুল গাছের কান্ড ভেদ করে প্রথমে মোচা ভের হয়। মোচার ভেতর হতে লম্বা পুষ্পদন্ডে একসঙ্গে অসংখ্য ফুল ফোটে। এর ফুল কলি অবস্থায় সাদা থেকে হাল্কা গোলাপি রঙের হয়ে থাকে। তবে পরিপূর্ণ ফুটন্ত অবস্থায় সাদার মাঝে লালচে-কমলা ও হলুদের মিশ্রণ থাকে। ফুটন্ত ফুল বেশ নজরকাড়া। কুলঞ্জন ফুলের সঙ্গে আদা ও এলাচি ফুলের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। কারণ এরা একই গোত্রের। ভেষজ গুণাগুণে ভরপুর এ উদ্ভিদের মূল, কান্ড ও পাতার রয়েছে ভেষজ নানান রকম গুণাগুণ।