পাহাড়ে শজিনা ডাঁটার বাণিজ্যিক চাষ

প্রকাশ | ২৩ জুন ২০১৯, ০০:০০

সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুন্ড
সীতাকুন্ড পাহাড়ে এবার গ্রীষ্মকালীন সবজি শজিনা ডাঁটার বাম্পার ফলন হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় এবার গত বছরের চেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে। দেশে শজিনার ব্যাপক চাহিদা থাকায় শজিনা চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। শজিনা বিক্রি করে এবার তারা আয়ও করেছে অনেক। এবার পাহাড়ি এলাকা ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রচুর পরিমাণে শজিনার ফলন হয়েছে। বাজারে আমদানিও বেড়েছে দ্বিগুণ। মুখরোচক ও পুষ্টিগুণে ভরপুর শজিনা ডাঁটা স্থানীয়ভাবে বিক্রির পাশাপাশি চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে গত বছরের চেয়ে দাম এবার অনেক বেশি। সীতাকুন্ড পৌর সদরের নিজ তালুক গ্রামের সুজায়েত উদ্দিন তার ৩টি গাছ থেকে প্রায় ১৮ মণ শজিনা বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে। এ ছাড়া ভূঁইয়াপাড়ার কৃষক ইদ্রিস মিয়া বাড়ির চারপাশে শজিনা লাগিয়ে ২০/২২ মণ শজিনা বিক্রিয় করে প্রায় ২০/২৫ হাজার টাকা আয় করেছে। বারৈয়াঢালা গ্রামের খোকন বিশ্বাস জানান, তার ৫টি গাছ থেকে ১৫ মণ শজিনা বিক্রি করেছেন তাতে প্রায় ২০ হাজার টাকা আয় হয়েছে। চিকিৎসকদের মতে শজিনাতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, খনিজলবণ, আয়রণসহ প্রোটিন ও শর্করা জাতীয় খাদ্য। এ ছাড়া ভিটামিন এ, বি, সি সমৃদ্ধ শজিনা ডাঁটা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শরীরের পুষ্টির জন্য গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে বলে শজিনা ডাঁটা ওষুধ হিসেবেও ব্যাপক সমাদৃত। এ ছাড়া শজিনা গাছের ছাল এবং পাতা রক্ত আমাশায়, পেটের পীড়া ও উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র নাথ বলেন, সীতাকুন্ড পাহাড়ে শজিনা চাষে উপযোগী মাটি ও আবহাওয়া রয়েছে। এখানে বাণিজ্যিকভাবে শজিনা চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।