কলাচাষে ভাগ্য বদল

প্রকাশ | ২১ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

মফিজুল ইসলাম
মফিজুল ইসলাম আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কলাচাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। এতে উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে চাষিদের কাছে। সাতক্ষীরার কলাচাষির সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কলাচাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে- বিশেষ করে বেকার যুবকদের কাছে। ফলে অর্থনৈতিক সচ্ছলতাও এসেছে তাদের। কৃষকরা এখন পুরনো ধ্যান-ধারণা পাল্টে লাভজনক ফসল হিসেবে কলাচাষে ঝুঁকে পড়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট-বড় সহস্রাধিক কলাবাগান। 'কলা রুইয়ে না কাটো পাত, তাতেই কাপড় তাতেই ভাত'- এ প্রবাদ বাক্যটি যেন সাতক্ষীরার কলাচাষিদের মাঝে বাস্তবে রূপ নিয়েছে। একদিন যাদের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরতো আজ তারা স্বাবলম্বী। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৭২১ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কলাচাষ হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদরে ১৫০ হেক্টর, কলারোয়ায় ৭৫, তালায় ৭৮ হেক্টর, দেবহাটায় ৮ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৩৮০ হেক্টর, আশাশুনিতে ২৫ হেক্টর এবং শ্যামনগরে ৫ হেক্টর জমিতে কলাচাষ হয়েছে। এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৫৯২ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদরে ২৭০০ মেট্রিক টন, কলারোয়ায় ১৬৫০, তালায় ১৭৬৭, দেবহাটায় ৮০, কালিগঞ্জে ২৬৯৫, আশাশুনিতে ৬২৫ এবং শ্যামনগরে ৭৫ মেট্রিক টন। এ ছাড়া বসতবাড়িসহ ব্যক্তি পর্যায়ে জেলায় ব্যাপকভাবে কলাচাষ হয়েছে। বাশদহা গ্রামের কলাচাষি পলাশ মন্ডল জানান, ৮-১০ বছর ধরে তিনি সাগর কলাচাষ করছেন। চলতি বছরেও প্রায় ৭ বিঘা জমিতে এ জাতের কলাচাষ করেছেন। অন্য যে কোনো ফসলের তুলনায় অধিক লাভজনক হওয়ায় তার প্রথম পছন্দ কলাচাষ। পলাশ মন্ডল আরো জানান, প্রতি বিঘা জমিতে সাগর কলাচাষ করতে খরচ হয় ৩৫-৪০ হাজার টাকা। আর বিক্রি করা যায় ১ লাখ ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত।ঘুটেরডাঙ্গীর কলাচাষি রহুল আমিন বলেন, আমি দীর্ঘ দুই বছর ধরে কলাচাষ করছি। আমি কলাচাষ করে আমার সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে সক্ষম হয়েছি। তালা উপজেলার বারুইপাড়ার মিলন দাশ কলাচাষ করে সাবলম্বী হয়েছেন। বর্তমানে তার জমিতে ৪০০-র বেশি কলাগাছ আছে। জেলাতে অমৃত সাগর, মেহের সাগর, সবরি অনুপম, চাম্পা, কবরি, নেপালি, মোহনভোগ মানিকসহ বিভিন্ন জাতের কলাচাষ হয়ে থাকে। তবে সবরি, মানিক মেহের সাগর ও নেপালি কলার চাহিদা অনেক বেশি। কারণ হিসেবে জানা গেছে, ধান, পাট ও আখসহ প্রচলিত অন্যান্য ফসলের তুলনায় কলাচাষে শ্রম ব্যয় খুবই কম। বিক্রির ক্ষেত্রেও ঝামেলা নেই। কলার বাজার দরেও সহজে ধস নামে না। তাই ঝুঁকি কম থাকায় চাষিরা কলাচাষে আগ্রহী হচ্ছে। জেলা কাঁচামাল ব্যবসায়ী জামাল জানান, সাতক্ষীরার উৎপাদিত কলার চাহিদা ব্যাপক। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এটি এখন জেলার বাইরেও সরবরাহ করা হচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় জানান, ঘুটেরডাঙ্গী গ্রামের অধিকাংশ কৃষক কলাচাষ করছেন। প্রতি বিঘা জমিতে এসব কৃষক ৩০-৩২ টন পর্যন্ত কলা উৎপাদন করছেন। এখানে অন্য যে কোনো ফসলের তুলনায় অর্থকরী ফসল হিসেবে কলাচাষ করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল মান্নান জানান, সব উপজেলায়ই কমবেশি কলাচাষ করা হয়। তবে সদর উপজেলার ঘুটেরডাঙ্গী গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে সাগর কলাচাষ হচ্ছে। জেলার মাটি ও আবহাওয়া সব ধরনের ফসলের উপযোগী। এখানে বারো মাসই বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলে। তার মধ্যে অর্থকরী ফসল হিসেবে এখন কলাচাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কৃষি খামার বাড়ির পক্ষ থেকে কলাচাষিদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কলাচাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। এতে উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে চাষিদের কাছে। সাতক্ষীরার কলাচাষির সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কলাচাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে- বিশেষ করে বেকার যুবকদের কাছে। ফলে অর্থনৈতিক সচ্ছলতাও এসেছে তাদের। কৃষকরা এখন পুরনো ধ্যান-ধারণা পাল্টে লাভজনক ফসল হিসেবে কলাচাষে ঝুঁকে পড়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট-বড় সহস্রাধিক কলাবাগান। 'কলা রুইয়ে না কাটো পাত, তাতেই কাপড় তাতেই ভাত'- এ প্রবাদ বাক্যটি যেন সাতক্ষীরার কলাচাষিদের মাঝে বাস্তবে রূপ নিয়েছে। একদিন যাদের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরতো আজ তারা স্বাবলম্বী। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৭২১ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কলাচাষ হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদরে ১৫০ হেক্টর, কলারোয়ায় ৭৫, তালায় ৭৮ হেক্টর, দেবহাটায় ৮ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৩৮০ হেক্টর, আশাশুনিতে ২৫ হেক্টর এবং শ্যামনগরে ৫ হেক্টর জমিতে কলাচাষ হয়েছে। এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৫৯২ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদরে ২৭০০ মেট্রিক টন, কলারোয়ায় ১৬৫০, তালায় ১৭৬৭, দেবহাটায় ৮০, কালিগঞ্জে ২৬৯৫, আশাশুনিতে ৬২৫ এবং শ্যামনগরে ৭৫ মেট্রিক টন। এ ছাড়া বসতবাড়িসহ ব্যক্তি পর্যায়ে জেলায় ব্যাপকভাবে কলাচাষ হয়েছে। বাশদহা গ্রামের কলাচাষি পলাশ মন্ডল জানান, ৮-১০ বছর ধরে তিনি সাগর কলাচাষ করছেন। চলতি বছরেও প্রায় ৭ বিঘা জমিতে এ জাতের কলাচাষ করেছেন। অন্য যে কোনো ফসলের তুলনায় অধিক লাভজনক হওয়ায় তার প্রথম পছন্দ কলাচাষ। পলাশ মন্ডল আরো জানান, প্রতি বিঘা জমিতে সাগর কলাচাষ করতে খরচ হয় ৩৫-৪০ হাজার টাকা। আর বিক্রি করা যায় ১ লাখ ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত।ঘুটেরডাঙ্গীর কলাচাষি রহুল আমিন বলেন, আমি দীর্ঘ দুই বছর ধরে কলাচাষ করছি। আমি কলাচাষ করে আমার সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে সক্ষম হয়েছি। তালা উপজেলার বারুইপাড়ার মিলন দাশ কলাচাষ করে সাবলম্বী হয়েছেন। বর্তমানে তার জমিতে ৪০০-র বেশি কলাগাছ আছে। জেলাতে অমৃত সাগর, মেহের সাগর, সবরি অনুপম, চাম্পা, কবরি, নেপালি, মোহনভোগ মানিকসহ বিভিন্ন জাতের কলাচাষ হয়ে থাকে। তবে সবরি, মানিক মেহের সাগর ও নেপালি কলার চাহিদা অনেক বেশি। কারণ হিসেবে জানা গেছে, ধান, পাট ও আখসহ প্রচলিত অন্যান্য ফসলের তুলনায় কলাচাষে শ্রম ব্যয় খুবই কম। বিক্রির ক্ষেত্রেও ঝামেলা নেই। কলার বাজার দরেও সহজে ধস নামে না। তাই ঝুঁকি কম থাকায় চাষিরা কলাচাষে আগ্রহী হচ্ছে। জেলা কাঁচামাল ব্যবসায়ী জামাল জানান, সাতক্ষীরার উৎপাদিত কলার চাহিদা ব্যাপক। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এটি এখন জেলার বাইরেও সরবরাহ করা হচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় জানান, ঘুটেরডাঙ্গী গ্রামের অধিকাংশ কৃষক কলাচাষ করছেন। প্রতি বিঘা জমিতে এসব কৃষক ৩০-৩২ টন পর্যন্ত কলা উৎপাদন করছেন। এখানে অন্য যে কোনো ফসলের তুলনায় অর্থকরী ফসল হিসেবে কলাচাষ করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল মান্নান জানান, সব উপজেলায়ই কমবেশি কলাচাষ করা হয়। তবে সদর উপজেলার ঘুটেরডাঙ্গী গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে সাগর কলাচাষ হচ্ছে। জেলার মাটি ও আবহাওয়া সব ধরনের ফসলের উপযোগী। এখানে বারো মাসই বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলে। তার মধ্যে অর্থকরী ফসল হিসেবে এখন কলাচাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কৃষি খামার বাড়ির পক্ষ থেকে কলাচাষিদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।