গাভীর নিরাপদ দুধ উৎপাদনে হোমিও ওষুধ

প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

কৃষিবিদ ফরহাদ আহাম্মেদ
গরুর বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় অ্যালোপ্যাথিক অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হোমিও ওষুধ আবিষ্কার করা হয়েছে। এই হোমিও ওষুধ প্রয়োগকৃত গরুর দুধ ও মাংস মানুষের জন্য নিরাপদ। সম্প্রতি ১৪টি কোম্পানির গাভীর পাস্তুরিত দুধ বিএসটিআই পরীক্ষা করে দুধে অ্যান্টিবায়োটিক, সিসা ও ক্যাডমিয়াম পেয়েছে। যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এ জন্য হাইকোর্ট এই কোম্পানিগুলোর দুধ বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করে। এতে এই কোম্পানিগুলোর লক্ষাধিক দুগ্ধ খামারিদের দুধ প্রতিদিন অবিক্রীত থাকছে ও নষ্ট হচ্ছে। দেশের দুগ্ধখাত বিরাট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গরুর ক্ষুরা, বাদলা, তড়কা, ওলানপ্রদাহ, জ্বর, সর্দি, পাতলা মল ত্যাগসহ যে কোনো রোগ হলেই গ্রামের অশিক্ষিত হাতুড়ে পশু ডাক্তাররা মাত্রাতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করে। ফলে মাংসে ও দুধে এই অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায়। যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে গাভীর ওলানপ্রদাহ রোগে যে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয় তা সরাসরি ওলানের রক্তে থাকে এবং দুধের সঙ্গে মিশে। রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক কৃষিবিদ আব্দুলস্নাহ আল মামুন ওলানপ্রদাহ রোগে অ্যালোপ্যাথিক অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসেবে হোমিও ওষুধ আবিষ্কার করেছেন। এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই ও দুধ মানবদেহের জন্য নিরাপদ। তিনি গত এক বছরে তার এলাকায় পাঁচ থেকে ছয়শত গাভীর ওলানপ্রদাহ রোগের চিকিৎসায় এই হোমিও ওষুধ প্রয়োগ করায় গাভীগুলো সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছে। তিনি বলেন, 'ওলানপ্রদাহ রোগে এই হোমিও ওষুধ খুবই কার্যকরী ও সারাদেশে এই ওষুধ দিয়ে ওলানপ্রদাহ রোগের চিকিৎসা সম্ভব। এই হোমিও ওষুধ প্রয়োগকৃত গাভীর দুধ ও মাংস মানুষের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ।'