গবেষণার তথ্য

তরল দুধে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই

প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

কৃষি ও সম্ভাবনা ডেস্ক
সাম্প্রতিক সময়ে দুধের মধ্যে ভারী ক্ষতিকর ধাতুর উপস্থিতির যে খবর সব জায়গায় ছেয়ে গেছে তা সম্পূর্ণ সত্য নয়। যারা এ তথ্য প্রকাশ করেছে তাদের গবেষণার সে সক্ষমতা নেই। তাই দুধের ব্যাপারে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) যে ৮টি দুধের নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণা করেছে এবং নমুনা ভারতের চেন্নাইতে এসজিএস আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবোরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়, তাদের ফলাফল আর বিএআরসির ফলাফল একই। পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত যে ৮টি দুধ (মিল্ক ভিটা, আড়ং, ফার্ম ফ্রেশ, ঈগলু, আরডি, সাভার ডেইর ও প্রাণ) নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে তা মানুষের ক্ষতিকর কোনো পদার্থ পাওয়া যায়নি। বাকি যে ছোট বড় দুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি রয়েছে তাদের দুধের তেমন ক্ষতিকর কিছু নাও থাকতে পারে, তবে পর্যায়ক্রমে সব দুধের নমুনা পরীক্ষা করে এর ফলাফল সবাইকে জানানো হবে। গত বুধবার কৃষিমন্ত্রী তার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পুষ্টি ইউনিট, বিএআরসি কর্তৃক অ্যান্টিবায়োটিক, সালফা ড্রাগ ও ভারী ধাতুর উপস্থিতি বিশ্লেষণ ফলাফল নিয়ে অনুষ্ঠিত 'প্রেস ব্রিফিং'য়ে এসব কথা জানান তিনি। ড. রাজ্জাক বলেন, বিগত বছরগুলোতে ফল সবজি, মাছসহ খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিন প্রয়োগ করা হয় বলে ব্যাপকভাবে প্রচার চালিয়েছে, ফলে মানুষের মধ্যে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে; যার ফলে আর্থিক ক্ষতিসহ বৈদেশিক বাজারে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং হচ্ছে। পরীক্ষাগারে এসব দুধ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, কোনো দুধেই কোনো প্রকার ভারী ধাতু যেমন লিড ও ক্রোমিয়ামের রেসিডিউ/অবশিষ্টাংশ পাওয়া যায়নি। কোনো প্রকার সালফা ড্রাগের রেসিডিউ/অবশিষ্টাংশ পাওয়া যায়নি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, খাদ্যসহ যে কোনো প্রকার আতঙ্ক বা বিভ্রান্তি এড়ানোর জন্য বিভিন্ন পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য ও বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে শিগগিরই দেশে অ্যাক্রিডেটেড ল্যাবোরেটরি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রেসব্রিফিং সঞ্চালন করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। এ ছাড়া বিএআরসির চেয়ারম্যান কবির ইকরামুল হকসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ আধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।