বর্ষার ফুল স্পাইডার লিলি

প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ফুলটির নাম শুনে সহজে বোঝা যায় মাকড়সার সঙ্গে এ ফুলের সম্পর্ক রয়েছে। হঁ্যা ঠিক তাই। এ ফুল মাকড়সার জালের সদৃশ হয়ে ফোটে। তাই এর পরিচিতি স্পাইডার লিলি। ফুলের রং দুধ সাদা ও মিষ্টি সুগন্ধিযুক্ত। ফুল লম্বা ডাঁটার অগ্রভাগে ছত্রাকার মঞ্জরিতে ফোটে। ফুলের নল লম্বায় ১০ থেকে ১৪ সেন্টিমিটার, আগায় ফিতার মতো সরু ৬টি পাপড়ি এবং গোড়ায় কাগুজে বাটি বা মুকুটে জড়ানো থাকে। ফুটন্ত ফুল খুবই নজরকাড়া। তাই তো নানা প্রকার লিলি ফুলের মাঝে স্পাইডার লিলি অন্যতম। এর ফুলের প্রস্ফুটন সময়কাল মূলত বর্ষা। তবে গ্রীষ্মের শেষ দিক থেকে ফুল ফোটা শুরু হয় আর ফুল ফোটার ব্যাপ্তি বর্ষা অবধি থাকে। বর্ষার ভেজা বাতাসে তখন ফুলের সুগন্ধ ভেসে বেড়ায়। গ্রামের মানুষজনের কাছে এ ফুলটি রসুন গো-রসুন ফুল নামে পরিচিত। এর পরিবার- অসধৎুষষরফধপবধব, উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম-ঐুসবহড়পধষষরং খরঃঃড়ৎধষরং। ইংরেজি নাম : ডযরঃব ঝঢ়রফবৎ খরষু, ইবধপয ঝঢ়রফবৎ খরষু। আদিনিবাস দক্ষিণ আমেরিকা। তবে আমাদের দেশের প্রকৃতি পরিবেশে এ ফুল গাছ বেশ মানিয়ে নিয়েছে। গাছ বেশ কষ্টসহিষ্ণু। কম যত্ন পরিচর্যা ও বুনো পরিবেশের মাঝেও ভালো জন্মে। সরাসরি মাটি ও টবে রোপণ উপযোগী ফুল গাছ। টবে পানি জমলে কন্দ পচে যেতে পারে, তাই সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে ও পানি নিকাশের ব্যবস্থা থাকতে হবে। ভেজা মাটি, রোদ ও আংশিক ছায়া স্পাইডার লিলি ফুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়ক পরিবেশ। এর গাছ পেঁয়াজকন্দীয়, গোড়ার গুচ্ছবদ্ধ পাতাসহ গাছের উচ্চতায় প্রায় ৬০ থেকে ৭০ সেন্টিমিটার হয়। গাছের কান্ড দেখতে অনেকটা কাঠকচুর মতো। পাতা বেশ পুরু, রং গাঢ় সবুজ, চওড়ায় ৪ থেকে ৮ সেন্টিমিটার এবং লম্বায় প্রায় ৫০ থেকে ৬০ সেন্টিমিটার। তা ছাড়া পাতা দেখতে অনেকটা আনারস গাছের পাতার মতো। তবে আনারস গাছের পাতার মতো শক্ত ও কাঁটাযুক্ত নয়। স্পাইডার লিলির পাতা মসৃণ ও নরম হয়। কন্দ ও কন্দ চারার মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার করা হয়ে থাকে। এর চারাগাছ কোনো স্থানে একবার রোপণ করা হলে সেখানে দ্রম্নত গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে খুবই কম সময়ের মাঝে ঝোপ আকার ধারণ করে। এর রয়েছে ভেষজ গুণাগুণ। কবিরাজরা লিভারের চিকিৎসায় এ গাছের কন্দ ব্যবহার করে থাকেন। লেখা ও ছবি : মোহাম্মদ নূর আলম গন্ধী