কোরবানিসংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা

প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

কৃষি ও সম্ভাবনা ডেস্ক
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গতবারের মতো এবারও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর গবাদিপশুর খামারগুলোতে স্বাস্থ্যহানিকর রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ল্যাবরেটরি-পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রাণিস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর স্টেরয়েড ও হরমোনজাতীয় ওষুধের বিক্রয় ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ, সীমান্তবতীর্ এলাকায় এসব দ্রব্যের চোরাইপথে আসা বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর মনিটরিং এবং জেলা-উপজেলা প্রশাসনসহ পুলিশ প্রশাসন পল্লী চিকিৎসকদের মাধ্যমে ব্যবহাররোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিবের সভাপতিত্বে ‘ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির হাটে ভেটেরিনারি-সেবাসংক্রান্ত’ এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সারাদেশে ঈদুল আজহায় কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা এবার প্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ। তন্মধ্যে গরু-মহিষ ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার এবং ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ৭১ লাখ। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৪ লাখ ২২ সহস্রাধিক। তবে এবছর কোরবানিযোগ্য হৃষ্টপুষ্ট গরু-মহিষের সংখ্যা প্রায় ২৯ লাখ ২০ সহস্রাধিক এবং ভেড়া-ছাগল ১৮ লাখ ২৬ সহস্রাধিক। বাকিগুলো অনুৎপাদনশীল গরু-মহিষ ও ছাগল-ভেড়া। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবছর কোরবানির হাটে পশুর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রতিটি ছোটহাটে অন্তত ১টি, বড়হাটে ২টি করে এবং ঢাকার গাবতলী হাটে ৪টি মেডিকেল টিম কাজ করবে। নিদির্ষ্টস্থানে কোরবানিকরণসহ ময়লাবজর্্য যত্রতত্র না ফেলা এবং কোরবানির আগে-পরে ঢাকা সিটির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে ঢাকা সিটি করপোরেশনদ্বয়ের সহযোগিতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সবার্ত্মক ব্যবস্থাগ্রহণ করবে এবং এ ক্ষেত্রে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টিতে সব মিডিয়ায় প্রচারণা চালানো হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।