পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় শামুক-ঝিনুক

প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

কৃষি ও সম্ভাবনা ডেস্ক
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় শামুক-ঝিনুক সংরক্ষণ করার গুরুত্ব তুলে ধরতে তিনদিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)। বৃহস্পতিবার বিএফআরআই মিলনায়তনে আয়োজিত ওই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ। প্রশিক্ষণে প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কমর্কতার্ ড. অনুরাধা ভদ্র এবং প্রশাসন ও অথর্ বিভাগের পরিচালক ড. মো. খলিলুর রহমান। ড. মো. খলিলুর রহমান বলেন, পৃথিবীতে প্রায় ৫০ হাজার প্রজাতির শামুক রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের সাগরে ২১২ প্রজাতির, স্বাদুপানিতে ৪০ প্রজাতির ও স্থলে ২৬ প্রজাতির শামুক পাওয়া যায়। অন্যদিকে দেশে ৪ প্রজাতির ঝিনুক পাওয়া যায়। শামুক জলাশয়ের পানিকে বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। শামুক ও ঝিনুকের মাংস মানুষ, হঁাস-মুরগি, চিংড়ি ও মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া শামুকের খোলস থেকে চুন তৈরি করা হয়। আর এ কারণে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে শামুক ও ঝিনুক আহরণ ও বিক্রয় করা হচ্ছে। বাংলাদেশে জলাশয়ের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমে যাওয়া এবং অতিরিক্ত পরিমাণে শামুক ও ঝিনুক আহরণ পরিবেশের জন্য হুমকি বয়ে নিয়ে আসবে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় শামুক আহরণ নিষিদ্ধ ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে।