ভাদ্রের ফুল ভাদ্রা

প্রকাশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ভাদ্র মাসে গাছে অধিক পরিমাণে ফুল ফোটে তাই ভাদ্রা নামে নামকরণ। তবে এর ফুল গ্রীষ্ম ঋতু থেকে ফোটা শুরু হয়ে শরৎজুড়ে ফোটতে দেখা যায়। দ্রম্নত বর্ধনশীল চিরসবুজ গুল্ম ও কাঁটাযুক্ত কাষ্ঠল লতা জাতীয় উদ্ভিদ। এর গাছ কোনো কিছুতে ভর করে বেড়ে ওঠে বা বেড়ে ওঠার জন্য বাউনির ব্যবস্থা করে দিতে হয়। পরিবার ঠবৎনবহধপবধব, উদ্ভিদ তাত্ত্বিক নাম এসবষরহধ যুংঃৎরী। এটি ভারতীয় প্রজাতি। আদি নিবাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। ঝোপ জাতীয় এ ফুলগাছ বাগান বিলাসের মতোই লতানো ও কাঁটাযুক্ত। গাছের পাতা রং সবুজ, ৪ থেকে ৭ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ৩ দশমকি ৪ সেন্টিমিটার চওড়া। পাতার বোঁটা লম্বায় ২ থেকে ৩ সেন্টিমিটার। এর ফুল শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগে ঝুলন্ত মঞ্জুরিতে ফোটে। ফুল ফুটন্ত ভাদ্রা গাছের সৌন্দর্য নয়নাভিরাম। মঞ্জুরিপত্র গোলাকার, ধূসর সবুজ থেকে বাদামি বা তামাটে লাল রঙের মোড়ক থেকে বের হয় ফুল। মঞ্জুরি লম্বায় ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। ফুল রঙে হলুদ, ফানেলাকার, মুখ প্রায় ৪ সেন্টিমিটার চওড়া ও অসমান। ফুল শেষে গাছে ফল ধরে। ফল আকৃতিতে গোলাকার- যা দেখতে কুলের মতো। আমাদের দেশে এ ফুল কমই চোখে পড়ে। তাই একে দুর্লভ ফুলও বলা যায়। সৌখিন ব্যক্তির বাগানে বা কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে কম পরিমাণে চোখে পড়ে। ঢাকার বলধা গার্ডেন, রমনা পার্ক ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে এ ফুলের গাছ দেখা যায়। বীজ থেকে তৈরিকৃত চারা ও ডাল কাটিং পদ্ধতির মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার করা যায়। রৌদ্রোজ্জ্বল, উঁচু ভূমি ভাদ্রার জন্য উপযোগী। ভাদ্রার রয়েছে ভেষজ গুণাগুণ। ফলের নির্যাস চর্মরোগে কাজ করে। লেখা ও ছবি : মোহাম্মদ নূর আলম গন্ধী