কৃষি সংবাদ

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের কফি বিশ্ব মানের কৃষি ও সম্ভাবনা ডেস্ক কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ধাননির্ভর কৃষির পাশাপশি অপ্রচলিত লাভবান কৃষির দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। দেশে কৃষক ধানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না ফলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই তাদের কফি, কাজুবাদাম, অ্যাবোকাডোসহ বিভিন্ন অধিক মূল্যের ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর অফিসকক্ষে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নর্থইন্ড লিমিটেডের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর রিক হার্বাডের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে এলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। রিক হার্বাড বলেন, আমরা ২০১১ সালে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় কৃষকদের মাধ্যমে ৫০০টি কফি গাছের চারা দিয়ে কফি চাষ শুরু করি। বর্তমানে সাজেক ভ্যালিসহ আমাদের মোট গাছের সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ। বিগত দুই বছর যাবত সম্পূর্ণ বাংলাদেশের কফি বাজারজাত করছি ও রপ্তানি করছি। নর্থইন্ড লিমিটেড ও এফএও মনে করে বাংলাদেশের কফি বিশ্ব মানের। এটার চাষ পরিবেশের জন্য উপযোগী পানি কম লাগে, পোকামাকড় ও রোগজীবাণুর আক্রমণ নেই। কফি গাছ ৩ বছর বয়স থেকে ফলন দেয় এবং ৯০ বছর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এ ছাড়া কফি প্রসেসিং মেশিনের দাম ছিল মাত্র পাঁচশ ডলার বর্তমানে সেই মেশিন এফএও কৃষকদের ফ্রিতে দিচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, আমরা কফি উৎপাদন করছি এবং এটার উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কাজ করছি। এর জন্য আমরা কিছুসংখ্যক কৃষকে ভিয়েতনামে পাঠাব হাতে কলমে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য। আমরা চাই, কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি করতে, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে। নর্থইন্ড লিমিটেডের সিইও বলেন, আমাদের কফি রপ্তানির ক্ষেত্রে ডিউটি ফি কমানো হলে আমাদের এই ব্যবসার জন্য ভালো হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী জানান, কৃষিজাত পণ্যের ওপর সরকার প্রণোদনা দিয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে কফিকেও এর আওতায় আনা হবে বলে উলেস্নখ করেন। এ ছাড়া ভিয়েতনাম থেকে উন্নত জাতের কফি চারা এনে এ দেশে চাষ করা হবে। তিনি নর্থইন্ড লিমিটেডকে সবধরনের সহযোগিতা দেয়ার প্রতিশ্রম্নতি দেন। খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় কর্মশালা খোন্দকার মো. মেসবাহুল ইসলাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রংপুরের সম্মেলন কক্ষে 'সমন্বিত কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ প্রকল্প' এর আওতায় আঞ্চলিক পরিকল্পনা কর্মশালা গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আবদুল মুঈদ বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে, এখন লক্ষ্য পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জন। সে লক্ষ্যে রংপুর, বগুড়া ও রাজশাহী অঞ্চলের চর ও দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকার মানুষের জীবন যাত্রার মানোন্নয়নে পুষ্টি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ আদর্শ গ্রাম গঠনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সঙ্গে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট একত্রে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হর্টিকালচার উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ চন্ডী দাস কন্ডু এবং প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মহাম্মদ মাইদুর রহমান। বিদ্যমান শস্য বিন্যাসের মধ্যে উচ্চমূল্যের ও পানিসাশ্রয়ী ফসল অন্তর্ভুক্ত করে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারের মা্যধমে কৃষি উৎপাদনশীলতা ও ফসলের নিবিড়তা ১৫-২০ ভাগ বৃদ্ধিতে বর্তমান প্রকল্প দেশের ২৯টি জেলার ৮৮টি উপজেলায় ২০১৪ সাল থেকে কাজ করছে। কৃষক দল গঠন ও বিদ্যমান দলের কার্যক্রম জোরদার করে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণের মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণকে প্রাধান্য দিয়ে বহুমুখী ফসল আবাদ এলাকা সম্প্রসারণ এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন সম্ভব কৃষি ও সম্ভাবনা ডেস্ক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রংপুর অঞ্চল, রংপুরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত "বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের" আঞ্চলিক কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আবদুল মুঈদ বলেন, দেশীয় ও প্রায় হারিয়ে যাওয়া স্থানীয় অনেক ফল এখন আবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব। সে সঙ্গে রপ্তানিযোগ্য দেশি-বিদেশি ফল উৎপাদন করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পথও তৈরি করে দিতে হবে আমাদের কৃষকদের। কারণ বাংলাদেশের মাটিতে অনেক ধরনের ফল বাণিজ্যিকভাবে আবাদ উপযোগী। কৃষকদের স্থান উপযোগী ফল ও ফলের জাত নির্বাচন এবং আবাদের বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সঠিকভাবে বাজারজাতকরণের পরামর্শ প্রদান করলে বাংলাদেশ থেকেও গুণগত মানসম্পন্ন ফল রপ্তানি করা সম্ভব। দেশের ৪৮টি জেলার ৩৮৮টি উপজেলায় প্রকল্পটি কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে কর্মশালায় উপস্থিত প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. মেহেদী মাসুদ জানান।