কৃষি সংবাদ

প্রকাশ | ০৬ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাহিদা বছরজুড়ে কৃষি ও সম্ভাবনা ডেস্ক কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষির সাফল্যে আরেকটি সংযোজন গ্রীষ্মকালীন টমেটো। কৃষি গবেষকদের সাফল্যের ফলে দেশে এখন সারা বছরই এই সবজিটি পাওয়া যায়, যার চাহিদা বছরজুড়ে থাকে। অল্প জমিতে এ সবজির চাষ করে অন্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভ পাওয়া যায়। গ্রীষ্মকালীন টমেটো শীতের চেয়ে অন্তত চার-পাঁচগুণ দামে বিক্রি হবে। আর এটি প্রসেসিং করতে পারলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে। উপমহাদেশে টমেটো রপ্তানির বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার নগরঘাটা গ্রামে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের ওপর মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণের জেলা সাতক্ষীরায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এখানে লবণাক্ততা বাড়ছে। তারপরও কৃষি গবেষকরা উচ্চ ফলনশীল গ্রীষ্মকালীন টমেটোর জাত উদ্ভাবন করে সাফল্য পেয়েছেন। শীতে আগাম চাষ করেও ভালো মুনাফা পেতে পারেন কৃষকরা। বারি উদ্ভাবিত জাতের ফলন বেশ ভালো হেক্টরপ্রতি ৩৫-৪৫ টন উৎপন্ন হয়। টমেটো প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানি করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এ ছাড়া উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে পেঁয়াজ উৎপাদনে আগামীতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে দেশ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মোস্তফা লুৎফুলস্নাহ, সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ রবি, কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, বিএডিসি'র চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আযাদ, জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল, পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান। পরে মন্ত্রী সাতক্ষীরা সার্কিট হাউসে খুলনা বিভাগীয় অঞ্চলের কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। 'বোলাস' জানাবে গরুর স্বাস্থ্যগত খবরাখবর কৃষি ও সম্ভাবনা ডেস্ক বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতে ইন্টারনেট অব থিংসের নতুন ধরনের ব্যবহার শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ও জার্মান এগ্রিকালচার সোসাইটি (ডিএলজি) স্বীকৃত ওই প্রযুক্তি খামার পর্যায়ে পৌঁছে দিচ্ছে সূর্যমুখী প্রাণিসেবা। গরুর কাঁধে বা কানে নয় এবার তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির নতুন ডিভাইস স্থাপিত হচ্ছে গরুর পাকস্থলীতে। টানা ছয় বছর পাকস্থলী থেকেই 'বোলাস' নামের ক্যাপসুল আকৃতির এই ডিভাইস প্রতিমুহূর্তে জানাতে পারবে গরুর স্বাস্থ্যগত সব খবরাখবর। সে খবর যে কোনো জায়গা থেকেই খামার মালিক দেখতে পাবেন মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের খামার উদ্যোক্তা আসাদুজ্জামান আফসার এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে পেতে শুরু করেছেন অভাবনীয় সুফল। বাংলাদেশে প্রযুক্তিটি এনেছে সূর্যমুখী প্রাণিসেবা নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তারা প্রযুক্তিটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গড়ে তুলেছেন সমন্বিত পস্নাটফর্ম। তাদের সঙ্গে রয়েছে ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স। প্রযুক্তিসেবার সঙ্গে প্রাণিসম্পদের বিমা সুবিধাও চালু করেছেন তারা। তবে সব ধরনের খামারিদের স্বার্থে সুবিধাটি আরো সহজলভ্য হওয়া প্রয়োজন, জানাচ্ছেন প্রথম ব্যবহারকারী খামারি। কৃষি নীতিবিষয়ক মতবিনিময় সভা নিতাই চন্দ্র রায় ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা কৃষি অফিস প্রশিক্ষণ কক্ষে গত ১ অক্টোবর কৃষি নীতিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শোয়েব আহমেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এপিএ পুলের সদস্য ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রাক্তন মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, ভারতের কৃষি বিশেষজ্ঞ ড. হরিশংকর গুপ্তা। মতবিনিময় সভায় কৃষির বর্তমান সমস্যা, কৃষিকে লাভজনক করার উপায় সম্পর্কে কৃষক প্রতিনিধি সার, বীজ, কীটনাশক ডিলার, কৃষি কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ হামিদুর রহমান বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে কৃষি নীতি প্রণয়ন করে। তারপর ২০১৩ সালেও আবার কৃষি নীতি প্রণীত হয়। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ করতে হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। এ কাজে কৃষিকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য প্রদান, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের বিকাশ ও কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে খোরাকি কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরের মাধ্যমে কৃষিকে পরিণত করতে হবে একটি সম্মানজনক ও লাভজনক পেশায়।