লাউ চাষে ভাগ্য বদলের চেষ্টা

প্রকাশ | ০৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুন্ড "স্বাদের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী" গানে লাউ মানুষকে বৈরাগী বানালেও বাস্তব জীবনে পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ সুস্বাদু লাউ চাষে ভাগ্য ফিরেছে অনেকের। লাউ চাষে বেকারত্ব দূর করার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হয়েছে অনেক বেকার যুবক। তেমনি পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ সুস্বাদু এ লাউ চাষে ভাগ্য বদলের চেষ্টায় সফল হয়েছেন সীতাকুন্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ইমাম নগর এলাকার কৃষক সোহেল। ইতোমধ্যে লাউ চাষে তার সফলতায় সুখ্যাতি এলাকায় ছড়ানোর পাশাপাশি চাষাবাদে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে এলাকার অনেক বেকার যুবকের। আলাপকালে সফল কৃষক সোহেল জানান, আমার ২০ শতক জমিতে পরপর দু'বার ফসলের চাষ করলেও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এতে দু'বার ফসলের ক্ষতিতে লোকসান হওয়ায় নিজের মনোবল কিছুটা দুর্বল হলেও পরবর্তী সময়ে একি জমিতে চাষ করি উন্নত জাতের লাউ। লাউ চাষে কৃষকের মজুরি, মাচা তৈরির বাঁশসহ প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক জিনিসে ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হলেও এ পযন্ত অর্ধলক্ষাধিক টাকার লাউ বিক্রি হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান বাজারে লাউয়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতিটি লাউ ৩০/৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে এবং বর্তমান বাজারদর স্থিতিশীল থাকলে কমপক্ষে আরও দুইমাস আশানুরূপ লাউ বিক্রি সম্ভব বলে জানান তিনি। সোহেল আরও বলেন, আমি বাড়ির পাশের ২০ শতক জমিতে লাল তীর, মেটেলসহ উন্নত প্রজাতির লাউ বীজ রোপণ করি। বীজ অঙ্কুরোদগমনের পর সঠিক সময়ে চারার যত্ন নেয়া শুরু করি। পুষ্টিগুণের জন্য ব্যবহার করি গোবরসহ বিভিন্ন উপদানের সংমিশ্রণে তৈরি প্রাকৃতিক জৈব সার। তার প্রাকৃতিক পন্থায় বেড়ে উঠা লাউ গাছের লতায় লতায় ভরে উঠে লাউয়ের মাচা। দু'মাসের মধ্যে ফুলে, ফলে ভরে উঠে আমার লাউ ক্ষেত। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, মাচায় সাজানো সবুজ লাউয়ের প্রতিটি ডগায় সাদা ফুলের সম্ভার। মাচার নিচে ঝুলছে শত শত লাউ। পোকা ও কীটপতঙ্গের আক্রমণ থেকে লাউ ক্ষেতের সুরক্ষায় চারপাশে দেয়া হয়েছে কাপড়ের বেড়া।ইমাম নগর এলাকার বাসিন্দা মো. মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, কৃষক সোহেলের লাউ চাষে সফলতা দেখে বর্তমানে এলাকার অনেক বেকার যুবক চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তবে টাকার অভাব এবং কৃষি মাঠকর্মীর সহযোগিতার অভাবে তারা চাষাবাদ থেকে পিছিয়ে পড়ছে।