কৃষি সংবাদ

প্রকাশ | ০৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
একাশি কোটি টাকার কৃষি প্রণোদনা কৃষি ও সম্ভাবনা ডেস্ক কৃষি মন্ত্রণালয় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নয়টি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে চলতি অর্থবছরে পরিবার প্রতি সর্বোচ্চ ১ বিঘা জমির জন্য বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার (ডিএপি ও এমওপি) পরিবহণ ব্যয় বাবদ নগদ অর্থ প্রদানের প্রণোদনা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। নয়টি ফসল হচ্ছে- গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, শীতকালীন মুগ, পেঁয়াজ ও পরবর্তী খরিপ-১ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ ও গ্রীষ্মকালীন তিল। গত বৃহস্পতিবার কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, এমপি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০১৯-২০২০ মৌসুমের কৃষি প্রণোদনা প্রদান কার্যক্রম উপলক্ষে আয়োজিত এসব কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান খরিপ-১ মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, শীতকালীন মুগ, পেঁয়াজ ও পরবর্তী খরিপ-১ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ ও গ্রীষ্মকালীন তিল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ৬৪টি জেলায় ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯১ হেক্টর জমিতে আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭ শত জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ৮০ কোটি ৭৩ লাখ ৯১ হাজার ৮ শত টাকার বিনামূল্যে বীজ, সার ও পরিবহণ ব্যয় বাবদ নগদ অর্থ প্রদান করা হচ্ছে। প্রতি কৃষক এক বিঘা জমিতে গম চাষের জন্য বীজ, ডিএপি ও এমওপি সারসহ সর্বসাকুল্য ১ হাজার ৯৯০ টাকা। ভুট্টা চাষের জন্য ১ হাজার ৩১৮ টাকা; সরিষা চাষের জন্য ৮০২ টাকা; র্সূযমুখী চাষের জন্য ২ হাজার ৮১৬ টাকা; চিনাবাদাম চাষের জন্য ১ হাজার ৫৭৫ টাকা; গ্রীষ্মকালীন তিল চাষের জন্য ৮০৮ টাকা; শীতকালীন মুগডাল চাষের জন্য ১ হাজার ১০ টাকা; গ্রীষ্মকালীন তিল চাষের জন্য ৮০৮ টাকা; পেঁয়াজ চাষের জন্য ১ হাজার ৭১৪ টাকার উপকরণ সহায়তা প্রদান করা হবে। এর ফলে তৈল, ডাল জাতীয় ফসলের আমদানি নির্ভরতা কমবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে রপ্তানি করা যাবে। আন্তর্জাতিক তরুণ গবেষক পুরস্কার পেলেন ড. খালিদ কৃষি ও সম্ভাবনা ডেস্ক জাপান এগ্রিকালচারাল মেশিনারিজ অ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ার্স সোসাইটি কর্তৃক তরুণ গবেষক পুরস্কার পেয়েছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. খালিদুজ্জামান এলিন। সম্প্রতি সোসাইটির কানসাই শাখার চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. হিরোশি সিমিজুর কাছ থেকে তিনি এ পুরস্কার গ্রহণ করেন বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর। পিএইচডি গবেষণার অংশ হিসেবে তিনি নিয়ার ইনফ্রারেড (আলোক রশ্মি) সেন্সর ব্যবহার করে ডিম না ভেঙে ভ্রূণের বৃদ্ধি নির্ণয়ের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। তার এ গবেষণার ফলে সারা বিশ্বে আগামী দিনগুলোতে পোল্ট্রি শিল্পে অতিরিক্ত প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনে ব্যাপক উন্নতি সাধিত হবে। ড. খালিদ বর্তমানে জাপানের কিয়োতো বিশ্ববিদ্যালয়ে জেএসপিএস (ঔঝচঝ) পোস্ট-ডক্টরাল গবেষক হিসেবে নিয়োজিত আছেন। হাবিপ্রবিতে কৃষক প্রশিক্ষণ আব্দুল মান্নান, হাবিপ্রবি দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থানীয় কৃষকদের জন্য দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। গত মঙ্গলবার সকালে আধুনিক পদ্ধতিতে শীতকালীন সবজি চাষ ও পরিচর্যা শীর্ষক এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ওই কর্মশালার উদ্বোধন করেন হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু আবুল কাসেম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. মো. ফজলুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইআরটির পরিচালক প্রফেসর ড. মো. তারিকুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর আবুল কাসেম বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় আগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিল না। আমি যোগদানের পর পরই প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেই। বর্তমানে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সবার জন্যই নিয়মিতভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এই স্থানীয় কৃষকদের জন্য এ ধরনের কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে। এতে কৃষকরা ব্যাপকভাবে লাভবান হবেন। সামনে ধাপে ধাপে সবার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী মহাবলিপুর, কর্ণাই, সুভ্রাসহ কয়েকটি গ্রামের ৩০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।