মুঠো ফোনে মিলবে ভেটেরিনারি চিকিৎসাসেবা

প্রকাশ | ১০ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

মো. আব্দুর রহমান, বাকৃবি
দেশের অর্থনীতির একটি সমৃদ্ধশালী অংশ হচ্ছে প্রাণিসম্পদ অথচ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রাণিসম্পদের অবদান দৃশ্যমান হচ্ছে না। প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল ভেটেরিনারি ডাক্তারের কারণে পর্যাপ্ত প্রাণিচিকিৎসা মিলছে না, ফলে দেশের সাধারণ কৃষক, খামারিরা গবাদি পশু-পাখি পালন করে লাভবান হতে পারছে না। প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে মানুষের দৌড়গোড়ায় ভেটেরিনারি প্রাণিচিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেয়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ শুরু করেছে 'মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক'। মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে অল্প সময়ে মিলবে অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা উপযুক্ত ভেটেরিনারি চিকিৎসা। গত ৪ নভেম্বর ময়মনসিংহ শহরের একটি হোটেলে জনসচেতনতামূলক স্বল্প দৈর্ঘ্যের ডকুমেন্টারি ড্রামা 'মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিকে'র শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা। ডকুমেন্টারি ড্রামা 'মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিকে'র উদ্বোধন ঘোষণা করেন দেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. প্রিয় মোহন দাস। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। 'মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক' প্রকল্পের প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরীর পরিকল্পনায় ১১ মিনিটের ডকুমেন্টারি ড্রামা 'মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিকে'র মাধ্যমে দেখানো হয়, একটি গবাদিপশু গরিব কৃষকের সংসারের কতটা অবিছেদ্য অংশ, হাতুড়ে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার পরিণতি, উপজেলায় ভেটেরিনারি ডাক্তারের অপ্রতুলতা এবং 'মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিকে'র প্রাণিচিকিৎসার পদ্ধতি ও সম্ভাবনা। ডকুমেন্টারি ড্রামাটির কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় ছিলেন ডা. কংগ্রীভ কুমার কবিরাজ, চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনায় জিকরুল হাকিম, সার্বিক সহয়োগিতায় ডা. মোস্তাক আহম্মেদ। এতে অভিনয় করেছেন সিমন্তী, উৎস, অনিক, হৃদয়, আরিফ, বাঁধন, জাহিদুলসহ আরো অনেকেই। কৃষি গবেষণা ফাইন্ডেশনের (কেজিএফ) অর্থায়নে পরিচালিত 'মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক' প্রকল্পের প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী জানান, বাংলাদেশ মানেই একটি বাড়ি একটি খামার। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মতো আমাদেরও খামারির দৌড়গোড়ায় গিয়ে চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে হবে। তাহলে একদিকে যেমন প্রাণীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে তেমনি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এ ক্ষেত্রে 'মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক' হতে পারে একটি উপযুক্ত মাধ্যম। প্রাণিসম্পদ তথা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এগিয়ে এলে দেশের প্রাণিচিকিৎসায় 'মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক' সুদূরপ্রসারী হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। 'মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক' প্রকল্পের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, কোনো খামারি আমার মোবাইলে কল করলে আমি মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রম্নত তার কাছে পৌঁছে যাই এবং চিকিৎসাসেবা প্রদান করি। এতে অসুস্থ প্রাণিটি দ্রম্নত সুস্থ হয়ে উঠে এবং দুধ মাংস উৎপাদন ঠিক থাকে। ফলশ্রম্নতিতে খামারি উপকৃত হয় এবং প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন বেগবান হয়।