বারান্দা বা ছাদের টবে পেঁয়াজ চাষের পদ্ধতি

প্রকাশ | ২৪ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

মো. ইউসুফ আলী সুমন
খাদ্য তালিকায় পেঁয়াজ একটি অপরিহার্য উপাদান। পেঁয়াজ সাধারণত মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হলেও সবজি ও সালাদ হিসেবেও পেঁয়াজ ব্যবহার প্রচলিত আছে। পেঁয়াজ কেবল খাদ্যদ্রব্যকে আকর্ষণীয় ও খাদ্যের স্বাদই বৃদ্ধি করে না, খাদ্যের প্রষ্টিগুণও বৃদ্ধি করে এবং এর ঔষধিগুণও অপরিসীম। বাসার বারান্দায় বা ছাদে এমন একটি স্থান বেছে নিন যেখানে প্রচুর আলো বাতাস পায়। পেঁয়াজ চাষের জন্য টব বা পস্নাস্টিক অথবা কাঠের কনটেইনারও ব্যবহার করা যায়। মাঝারি সাইজের একটি টব বেছে নিন। মাঝারি আকৃতির টবে ৫০টি পেঁয়াজ গাছের চাষ করা সম্ভব। উর্বর মাটি এবং পানি নিষ্কাশন সুবিধাযুক্ত টবে পেঁয়াজ চাষ করতে হবে। দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি পেঁয়াজ চাষের জন্য উত্তম। পেঁয়াজ সাধারণত ঠান্ডা জলবায়ুর উপযুক্ত ফসল। যদি পেঁয়াজ চাষ করার সময় তাপমাত্রা বেশি থাকে তাহলে ওই পেঁয়াজ ঝাঁজালো হবে। তবে মনে রাখবেন, এঁটেল মাটিতে পেঁয়াজ চাষাবাদ করা যায় না। মাটি অবশ্যই উর্বর হতে হবে। পেঁয়াজ তিনটি পদ্ধতিতে চাষ করা যায়; ১) শল্ক কন্দ রোপণ করে। ২) সরাসরি বীজ বুনে। ৩) বীজতলায় বীজ বুনে চারা উত্তোলন করে তা রোপণ করে। বীজ হতে চারা তৈরি করে রোপণ করলে অধিক ফলন হয়। বিশেষ করে পস্নাস্টিকে কন্টেইনার ব্যবহার করলে অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়া জন্য আগেই কন্টেইনারটিতে কয়েকটি ছোট ছিদ্র করে নিতে পারেন। গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আগাম চাষে সাধারণত চারা রোপণের ৮০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে এবং নাবী চাষে চারা রোপণের ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ সংগ্রহের উপযোগী হয়ে যায়। পেঁয়াজ সংগ্রহের ১৫ থেকে ২০ দিন আগে গাছের ডগা ভেংগে দিলে ফলন ভাল পাওয়া যায়। পেঁয়াজ ভালো করে শুকানোর পরে গুদামজাত করতে হয়। গুদাম ঠান্ডা ও বায়ু চলাচলের ব্যবস্থাযুক্ত হওয়া উচিত। গুদামে পরীক্ষা করে পচা ও রোগাক্রান্ত পেঁয়াজ বেছে সরিয়ে ফেলতে হয়।