শখ পূরণ ও পুষ্টি আহরণে ড্রাগন চাষ

প্রকাশ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

মঞ্জুর মোর্শেদ রুমন
আমেরিকার একটি প্রসিদ্ধ ফল ড্রাগন। আমেরিকান ফল হলেও এটি বর্তমানে চীন, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশসহ আরও অনেক দেশে ব্যাপকহারে চাষ হচ্ছে। ড্রাগন গাছ অনেকটা ক্যাকটাসের মতো। বেলে মাটিতে এর বৃদ্ধি ভালো হয়। বিভিন্ন দেশে ড্রাগকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। যেমন থাইল্যান্ডে ড্রাগনকে স্ফটিক, চীনে আগুনে ড্রাগন, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াতে ড্রাগন ফল নামেই ডাকা হয়। আমাদের দেশে ২০০৭ সালে সর্বপ্রথম এটি বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। এই ফলের গাছ সাধারণত ১.৫ থেকে ২.৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। গাছ মাটি থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় লোহার খুঁটি দিয়ে উপরে উঠে রিংয়ের চারপাশে ফোয়ারার মতো ঝুলতে থাকে। গাছ লাগানোর ১৮ মাসের মধ্যে ফুল ধরে। ফুল আসার ১ মাসের মধ্যে ফল ধরে। ফুল ও ফলের রং সাধারণত ৩ ধরনের। যথা সাদা, লাল ও হলুদ। তবে লাল ফলই আমাদের কাছে বেশি পরিচিত এবং এটির চাহিদাও বেশি। এক একটি ফলের ওজন ১৫০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রাম হয়ে থাকে। ফলের ভেতরের অংশে ছোট ছোট বীজ থাকে। নরম শাঁস ও মিষ্টি গন্ধযুক্ত এই ফল খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এই ফল ভিটামিন সি, মিনারেলসমৃদ্ধ ও ক্যারোটিনসমৃদ্ধ থাকায় এটি চোখকে ভালো রাখে। আঁশের পরিমাণ বেশি থাকায় হজমেও সহায়তা করে। এই ফলের বিদ্যমান প্রোটিন শরীরের যাবতীয় বিপাকীয় কাজে সহায়তা করে। আমাদের দেশের আবহাওয়া ড্রাগন ফল চাষের জন্য উপযুক্ত হওয়ায় বর্তমানে এটি ব্যাপকহারে চাষ হচ্ছে। অঙ্গজ এবং বীজ উভয় পদ্ধতিতে ড্রাগন ফলের বংশ বিস্তার হয়। তবে মাতৃগুণাগুণ বজায় রাখার জন্য অঙ্গজ পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করাই উত্তম। বর্তমানে অনেকে এটি ছাদ বাগানে বড় টবে বা ড্রামে চাষ করে শখ পূরণ ও পুষ্টি আহরণ দুটোই করছে।