ক্লাইমেট স্মার্ট বিনিয়োগ পস্নান উদ্বোধন

প্রকাশ | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

কৃষি ও সম্ভাবনা ডেস্ক
পুষ্টির অন্যতম প্রধান উৎস হলো মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম। আমাদের মাথাপিছু যে আয় তা দিয়ে সবার পক্ষে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা সম্ভব হয় না। মাথাপিছু আয় বাড়াতে হলে কৃষিকে আধুনিক কৃষিতে নিয়ে যেতে হবে এবং প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করতে হবে। গত বুধবার কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের কনভেনশন হলে আয়োজিত ক্লাইমেট স্মার্ট বিনিয়োগ পস্ন্যানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিবছর মাথাপিছু দুধ ব্যবহারের পরিমাণ ২২ কেজি। অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশে ৫৫ কেজি। খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) পরামর্শ অনুযায়ী মাথাপিছু দুধ গ্রহণের হার হওয়া উচিত ৯০ কেজি। তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দুধের ব্যবহারে এখনো ৫১ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে পুষ্টিমানের বিষয়টি আগে আসে। ২০১০ সালে বাংলাদেশের দুধ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল মাত্র ২৩ লাখ লিটার। কিন্তু ২০১৮ সালে সেই পরিমাণ বেড়ে ৯৪ লাখ লিটারে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ দুধ উৎপাদন যথেষ্ট পরিমাণে বেড়েছে। এ ছাড়া আমিষের চাহিদা মেটাতে মাছ, মাংস ও ডিম উৎপাদনে প্রচুর সফলতা এসেছে। এই তিন সেক্টরের মধ্যে পোল্ট্রিশিল্প এগিয়ে আছে। কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতির ভিত্তি গড়ে ওঠে, তাই এর উন্নয়নের দিকে নজর দিতে হবে। কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আশার কথা হচ্ছে, দেশের দক্ষ কৃষি বিজ্ঞানীদের অদম্য চেষ্টার ফলে লবণাক্ততা সহিষ্ণু, খরা ও বন্যা সহিষ্ণু, সময় নিরপেক্ষ ও স্বল্পকালীন উন্নতজাতের কিছু ফসলের জাত উদ্ভাবিত হয়েছে।